০ থেকে ১০ বছর + বাচ্চাদের শিক্ষনীয় সব খেলনা
ছোট বাচ্চাদের জন্য খেলনা আমরা প্রায় সকলেই ক্রয় করে থাকি কিন্তু খেলনা গুলো যদি ছোট বাচ্চাদের শিক্ষণীয় খেলনা হয়, তাহলে কেমন হবে? অবশ্যই ভালো হবে। এই আর্টিকেলটিতে ০ (শূন্য) থেকে ১০ (দশ) বছর + (প্লাস) বাচ্চাদের শিক্ষনীয় সব খেলনা গুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।
আপনার শিশু যে বয়সেরই হোক না কেন সকল বয়সের শিশুর শিক্ষণীয় খেলনা এবং বর্জনীয় খেলনা গুলো পেয়ে যাবেন এই আর্টিকেলটিতে।
সূচিপত্র: ০ থেকে ১০ বছর + বাচ্চাদের শিক্ষনীয় সব খেলনা।
(নিচের যে অংশ থেকে পড়তেছে ক্লিক করুন)
- বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ০ থেকে ৩ মাস
- বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ৩ থেকে ৬ মাস
- বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ৬ মাস থেকে ১ বছর
- বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ১ বছর থেকে ২ বছর
- বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ২ বছর থেকে ৬ বছর
- বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ৬ বছর থেকে ১০ বছর
- ১০ বয়স + বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা
- শিশুদের খেলনা হিসেবে যেগুলো দিবেন না
- উপসংহার - শেষ কথা
বাচ্চাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট খেলাধুলা ও ব্যায়াম। ছোট বাচ্চারা খেলাধুলা করতে খুব বেশি পছন্দ করে। সেজন্য অভিভাবকগণকে বাচ্চাদের খেলনা গুলোর দিকে নজর দেওয়া জরুরী, আপনি যদি সঠিক সময় সঠিক খেলনা আপনার ছোট বাবুর জন্য নির্বাচন করতে পারেন তাহলে খেলনার মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সম্ভব।
বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ০ থেকে ৩ মাস
আপনার বাচ্চার বয়স শূন্য থেকে তিন মাস পর্যন্ত যে খেলনা গুলো রাখবেন সে সব খেলনা গুলোর শব্দ হয় এবং বাচ্চার দোলনায় ঝুলিয়ে রাখা যায় এরকম সব খেলনা প্রয়োজন।
এই খেলনা গুলো আপনার বাচ্চাকে দিলে খুব সহজে বুঝতে পারবেন আপনার বাচ্চার কানে শুনতে কোন সমস্যা হচ্ছে কি? এছাড়াও খেলনা গুলো এই দিক ওইদিকে ঘোরালে আপনার বাচ্চাও ঘাড় ঘোড়াবে। যদি আপনার বাচ্চার কোন সমস্যা থাকে তাহলে খুব সহজেই বুঝতে পারবে।
আপনার বাচ্চার কোন সমস্যা না থাকলে তো ভালোই, যদি সমস্যা থাকে তাহলে দ্রুত শনাক্ত করার কারণে আলহামদুলিল্লাহ, দ্রুত সমস্যার সমাধান সম্ভব।
বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ৩ থেকে ৬ মাস
এই বয়সে আপনার বাচ্চাকে টিদার দিতে পারেন এতে বাচ্চার মাড়ি গঠনে সাহায্য করবে এবং এমন সব খেলনা যেগুলো বাচ্চা হাতে ধরতে পারে।
হাতে ধরতে পারেন এই সকল খেলনা গুলো দিলে আপনার বাচ্চা হাতে ধরে শক্তি প্রয়োগ করতে পারবেন এতে করে বাচ্চার ফিজিক্যাল স্টেজ গ্রো করবে। এটি একটি চমৎকার ইফেক্ট পড়বে আপনার বাচ্চা জন্য। বাজারে খোঁজ করলে টিদার সহ বিভিন্ন খেলনা আপনার পেয়ে যাবেন।
বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ৬ মাস থেকে ১ বছর
ছয় মাস অতিক্রম করলে অনেক বাচ্চা বসতে শিখে যায় এবং এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এলোমেলোভাবে হাঁটতে শিখে যাই। এই বয়সে পৌঁছে আপনার বাচ্চাকে এমন সব খেলনা দিতে হবে যেই খেলনা গুলো আপনার বাচ্চার হামাগুড়ি দিতে এবং হাঁটা শিখতে সাহায্য করবে।
বাজারে খোঁজ করলে সেই রকম বিভিন্ন খেলনা পাওয়া যায় যেমন রিমোট সিস্টেম গাড়ি, ছোট বল, গাড়ি ধরে এক পা দু পা করে আগাবে এরকম বিভিন্ন খেলনা।
আশা করি আপনারা পয়েন্টগুলো এবং বয়স অনুযায়ী আপনার বাচ্চার জন্য প্রয়োজনীয় খেলনাগুলো বুঝতে পারছেন।
বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ১ বছর থেকে ২ বছর
এ বয়সের বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন খেলনা সেট পাওয়া যায় যেমন এনিমেল, যে কোন ফল, বিভিন্ন সবজি ইত্যাদি। ধরেন একটি তারা আছে এবং সেই তারাটির একটি ছক কাটা আছে আপনার বাচ্চা সে তারাটি ছকটির মধ্যে বসিয়ে দিল এবং একটি শব্দ হল এতে আপনার শিশুর মেধাবিকাশে সাহায্য করবে।
এটি একটি উদাহরণ এরকম বিভিন্ন খেলনা রয়েছে যেমন ব্লক দিয়ে বিল্ডিং তৈরি, একটি বোতামে চাপ দিলে বিভিন্ন ফলের, ফুলের, পশু পাখি ইত্যাদির নাম ও শব্দ। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন, এই বয়সে এই খেলনা গুলো চমৎকার ভাবে শিশুর মেধাবিকাশে সাহায্য করবে।
বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ২ বছর থেকে ৬ বছর
বয়সের সাথে সাথে বাচ্চাদের চাহিদার পরিবর্তন হয়ে থাকেন যখন আপনার বাচ্চা দুই বছর অতিক্রম করবে তখন এমন সব খেলনা দিবেন যেগুলো আপনার বাচ্চার শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেমনঃ
- প্লাস্টিকের পুল বল
- ইলেকট্রনিক পিয়ানো
- খেলনা মোটরসাইকেল
- খেলনা ব্ল্যাক
- খেলনা ব্ল্যাক স্পাইডারম্যান
- পুতুল
- এলিয়েন নেকা
- স্মার্ট এয়ারবোট রোবট
- ট্রেন ট্র্যাক সেট
- বেবি হাঁস রাইডার
- শিশুর ইঞ্জিনিয়ারিং সেট, ইত্যাদি
এই খেলনা গুলো বাজারে বিভিন্ন দামের পাওয়া যায় ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০০+ টাকা পর্যন্ত মূল্য রয়েছে। আপনারা আপনাদের সমর্থ্য অনুযায়ী নিজে বুদ্ধি খাটিয়ে আপনার বাচ্চার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটবে এরকম খেলনা গুলো নির্বাচন করুন। এবং আপনার বাচ্চাকে সময় দিন তার সাথে খেলা করুন খেলার ছলে অনেক কিছু শেখানো সম্ভব।
বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা বয়স ৬ বছর থেকে ১০ বছর
এই বয়সে বেশিরভাগ বাচ্চারা সাইকেল এবং মোটরসাইকেল চাই, আপনার সামর্থ থাকলে অবশ্যই তাদেরকে ক্রয় করে দিন। তার সাথে সাথে ফুটবল, ব্যাট বল এবং আরো বিভিন্ন খেলনা রয়েছে যেগুলো দলবদ্ধ ভাবে খেলতে হয় সে সকল খেলা গুলো খেলতে উৎসাহিত করবেন এবং সময় জ্ঞান ও ধর্মীয় শিক্ষা দিবেন।
মেয়েরা পুতুল খেলতে পছন্দ করে তবে মুসলিমরা অনেকেই পুতুল খেলা নাজায়েজ মনে করে। আয়েশা (রাঃ) থেকে জানা যায় পুতুল খেলা জায়েজ। তবে ভাস্কর্য সম্পর্কে আপনার শিশুকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে। মেয়েরা পুতুল খেলার ছলে সাংসারিক বিভিন্ন কাজ শিখে যায় এটি একটি প্লাস পয়েন্ট।
ছয় বছর অতিক্রম করলেই আপনার বাচ্চাকে ধর্মীয় শিক্ষা, লেখাপড়া, এবং শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্য ব্যায়াম ও খেলাধুলা সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা প্রদান করুন এতে আপনার শিশুর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।
১০ বয়স + বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা
আপনার বাচ্চা যখন ১০ বছর অতিক্রম করেছে তখন আপনার বাচ্চা সম্ভবত ভালো একটা জ্ঞান রাখে এটা আপনাকে মাথায় রাখতে হবে। আপনার বাচ্চা কোথায় যাচ্ছে স্কুলে কতক্ষণ সময় দিচ্ছে কতক্ষণ খেলাধুলা করছেন কি খেলছে, কতক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করছে ইত্যাদি খেয়াল রাখতে হবে।
সেজন্য আপনার বাচ্চাকে শারীরিক পরিশ্রম হয় এরকম খেলা গুলো গ্রহণ করতে উৎসাহিত করুন যেমন: ফুটবল, ব্যাট বল, সিল গাদ্দি, গাছ গোল্লা ইত্যাদি এমনকি আমরা বড়রাও এই খেলা গুলো খেলি।
আরো পড়ুন: কোরআন থেকে মুসলিম ছেলেদের আধুনিক জনপ্রিয় ২০০টি নাম
শিশুদের খেলনা হিসেবে যেগুলো দিবেন না। শিশুদের খেলনা হিসেবে অবশ্যই মোবাইল ফোন দিবেন না। কেননা আপনারা হয়তো জানেন মোবাইল ফোনের অপকারিতা সম্পর্কে। শারীরিক এবং মানসিক বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। যেহেতু এটি বাচ্চাদের শিক্ষণীয় খেলনা আর্টিকেল সেহেতু এখানে বিস্তারিত আলোচনা করছি না আপনারা যদি না জানেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ করে জেনে নিবেন।
উপসংহার - শেষ কথা
আলহামদুলিল্লাহ, বাচ্চাদের শিক্ষনীয় খেলনা গুলো শূন্য থেকে দশ বছর প্লাস সকলের জন্য দেওয়া হয়েছে। আশা করি আপনারা পয়েন্টগুলো বুঝতে পেরেছেন আপনার এবং আপনার বাচ্চার জন্য (হায়াতে তাইয়েবা) কামনা করি।
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url