চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় ১০টি কার্যকরী টিপস
চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় গুলো আমাদের সবার জানা উচিত। চুলের বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আমরা কমবেশি সবাই ভুগে থাকি। ডাক্তার তাসনিম জারা সহ বেশ কয়েকজন পুষ্টিবিদ ও বিউটি এক্সপার্ট দের পরামর্শ ক্রমে আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে।
এছাড়াও কোন খাবার চুলের জন্য উপকারী, চুলের যত্নে কমন কিছু ভুল, চুল পড়ার চিকিৎসা সহ আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সূচিপত্র: চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় ১০টি কার্যকরী টিপস
- চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় ১০টি কার্যকরী টিপস
- যেসব খাবার খেলে চুল লম্বা ও সুন্দর হয়
- চুলের যত্নে কমন কিছু ভুল
- যেসব কাজ চুলের ক্ষতি করে
- চুল পড়ার চিকিৎসা
- উপসংহার - শেষ কথা
সুন্দর ও স্বাস্থ্যজ্জল চুল আমাদের সকলেরই কাম্য। লম্বা ও সিল্কি চুল সৌন্দর্য বর্ধনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই মানুষ সব সময় চেষ্টা করে কিভাবে তার চুলকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়।
চুলকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বাজারে অনেক হেয়ার প্রোডাক্ট পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো কেমিক্যাল যুক্ত হওয়ায় অনেক সময় চুলের ক্ষেত্রে উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করে থাকে।
চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় ১০ টি কার্যকরী টিপস
চুল লম্বা ও সিল্কি করা ঘরোয়া উপায় ১০টি কার্যকরী টিপস নিম্মে দেয়া হল:
- চুলে তেল দেয়া
- পিয়াজের রস ও লেবুর রস
- অলিভ অয়েল নারিকেল তেল ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল
- পেঁয়াজের রস
- ডিম
- মেহেদী, আমলকি, মেথি বাটা ও টক দই
- চা পাতার
- আমলকির গুঁড়ো
- জবা ফুল
- এলোভেরার
১. চুলে তেল দেয়া, চুল ঘন লম্বা ও সিল্কি করার জন্য সহজ পদ্ধতি হলো চুলে তেল দেয়া। কিন্তু শুধু নারিকেল তেল দিয়ে শক্ত করে বেণী করে ঘুমালেই চুল ঘন লম্বা ও সিল্কি হয় না। নারিকেল তেলের সাথে আরো অনেক উপাদান মিক্সড করতে হবে।
হাফ লিটার নারিকেল তেল এর সাথে অলিভ অয়েল, তিলের তেল আর মেথি দিয়ে একটি হাঁড়িতে ভালোভাবে জাল দিতে হবে। যখন এটা বলফ বা ফুটে আসবে তখন নামাতে হবে। নামানোর পর ঠান্ডা করে একটি বোতলে (কাঁচের বোতল হলে সবচেয়ে ভালো হয়) রাখতে হবে।
প্রতিদিন গোসলের আগে চুলে সিঁথি কেটে কেটে এই তেল দিয়ে মাসাজ করতে হবে। এরপর অ্যালোভেরা জেল নিয়ে কন্ডিশনার যেভাবে আমরা ব্যবহার করি সেভাবে চুলে টেনে টেনে দিতে হবে। এক থেকে দেড় ঘন্টা পর ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে এবং কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। এটি প্রতিদিন করতে হবে অথবা সপ্তাহে দুইদিন করে স্কিপ দিয়ে করতে হবে।
২. নারিকেল তেলের সাথে পিয়াজের রস ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগাতে হবে। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি সপ্তাহে তিন চার দিন করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
৩. অলিভ অয়েল নারিকেল তেল ও একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসাথে মিশাতে হবে। রাতে ঘুমের আগে এই মিশ্রণটি চুলে ভালোভাবে মাখতে হবে। সকালে উঠে শ্যাম্পু ও স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
৪. পেঁয়াজের রস চুলের গোড়াকে শক্ত করে, নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। পেঁয়াজের রস চুলকে লম্বা করতেও অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। চুলের ঘনত্ব অনুযায়ী প্রয়োজন মত পেঁয়াজ পেস্ট করে চুলে লাগাতে হবে এবং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তা ধুয়ে ফেলতে হবে
৫. ডিম, চুল লম্বা ও সিল্কি হওয়ার ক্ষেত্রে ডিমের কোন তুলনা হয় না। কেননা ডিমে রয়েছে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন এবং আয়রন, ফসফরাস, জিংক, সেলেনিয়াম, সালফার। চুলের পরিমাণ অনুযায়ী একটা বা দুইটা ডিমের সাথে কিছুটা অলিভ অয়েল ও কয়েক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। এটি চুলে ভালো করে মাসাজ করে লাগাতে হবে। চুল শুকিয়ে গেলে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে করে একদিকে যেমন লম্বা ও সিল্কি চুল পাওয়া যাবে তেমনি চুলের খুশকিও দূর হবে।
৬. আধা কাপ করে গাছের মেহেদী বাটা, আমলকি বাটা, মেথি বাটা ও টক দই একসাথে মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করে নিতে হবে। চুলে প্রথমে নারিকেল তেল দেয়ার পর এই প্যাকটি ভালো করে লাগাতে হবে। প্রায় এক ঘণ্টা রাখার পর এটি ভালোভাবে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি সপ্তাহে এক থেকে দুই বার করতে হবে। এতে চুল লম্বা, সিল্কি ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হবে।
৭. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে চা পাতার নাম না বললেই নয়। এটি চুলের জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস। প্রথমে কয়েক কাপ পানিতে চা পাতা ভালোভাবে ফুটাতে হবে। ফোটানোর পর চা পাতা ছেঁকে সেই পানিটাকে ঠান্ডা করে এতে লেবুর রস মিশাতে হবে। এবং তা দিয়ে ভালোভাবে চুল ধুতে হবে। চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় হিসেবে এটা দিয়ে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
৮. ক্যাস্টর অয়েলের সাথে কিছুটা আমলকির গুঁড়ো ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল অনেক তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এটার ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন ব্যবহার করতে হবে।
৯. চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে জবা ফুলের প্যাকটি খুবই উপকারী। জবা ফুল, টক দই ও পাকা কলা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। পুরো চুলের আগা থেকে গোরা পর্যন্ত এই প্যাকটি লাগাতে হবে এবং ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা চুলের মশ্চারাইজ ও শাইনী ভাব ধরে রাখে।
১০. চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে এলোভেরার কথা না বললেই নয়। এলোভেরা জেল ও এলোভেরা তেল এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো এলোভেরার তেল ও জেল ব্যবহার করতে হবে।
যেসব খাবার খেলে চুল লম্বা ও সুন্দর হয়
পুষ্টিবিদদের মতে, চুল লম্বা সিল্কি ও সুন্দর করার জন্য বাহ্যিক পরিচর্যার পাশাপাশি আমাদের এমন খাবার খেতে হবে যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। যেমন :
- বিভিন্ন ধরনের বাদাম (বিশেষ করে আমন্ড বা কাঠ বাদাম ও চিনা বাদাম ), আখরোট, ছোলা, মিষ্টি কুমড়ার বীজ, সূর্যমুখীর বীজ, তিসি দানা ইত্যাদিতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, বায়োটিন এবং ভিটামিন ই। যা কিনা চুলের ব্রেকেজ প্রতিরোধ করে চুলকে লম্বা ও মজবুত করে তোলে।
- গাজর, মিষ্টি কুমড়া, পেঁপে, আম ইত্যাদি বিভিন্ন রঙিন ফলমূল ও সবজি প্রচুর পরিমানে খেতে হবে কেননা এগুলা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন। এগুলো চুল পড়া প্রতিরোধ করে এবং চুলকে লম্বা করতে সাহায্য করে।
- মাছ মাংস ডিম দুধ ইত্যাদি খেতে হবে। দুধ আদর্শ খাবার এতে সকল ধরনের পুষ্টিগুণ থাকে। আর ডিমকে বলা হয় পুষ্টির পাওয়ার হাউজ। চুল লম্বা সিল্কি ও সুন্দর করার জন্য যে প্রোটিন, বায়োটিন এবং এসেন্সিয়াল অ্যামাইনো এসিড দরকার তার সবকিছুই ডিমে রয়েছে।
- পালং শাক আয়রনে ভরপুর একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রনের সাথে সাথে রয়েছে ভিটামিন এ ভিটামিন সি যা কিনা চুল বাড়তে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- আমলকি একটি এন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার এটি মাথার খুশকি দূর করে, চুল পাকা বন্ধ করে ও চুলকে লম্বা করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন আমাদের খাদ্য তালিকায় আমলকি রাখা উচিত।
- মরিঙ্গা বা সজনে পাতার গুড়া মাথার চুল ছাড়াও আমাদের শরীরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উপকার করে থাকে। এতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট যা চুলের খুশকি দূর করে চুল পড়া বন্ধ করে।
- তিল এবং জিরা এ দুটি শস্য চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্ল রাখতে সাহায্য করে।
- সকালে তিন-চারটি কারি পাতা চিবিয়ে খেতে হবে কেননা এতে রয়েছে আইরন ও ফলিক এসিড। যা চুলকে লম্বা সিল্কি সুস্থ ও মজবুত করে।
- অ্যাভোকাডো মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায়, চুলকে ঘন কালো করে তোলে। খাদ্য তালিকায় অ্যাভোকাডো থাকতে হবে।
- ডাল প্রোটিনও আয়রন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও ডালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। আইরন মাথার তালুতে রক্ত সরবরাহ করে চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছাতে সাহায্য করে।
- প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে।
- টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি এবং জিংক ভরপুর থাকে। এগুলোর অভাবে চুল বেঁকে যেতে পারে, পড়ে যেতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে জাতীয় ফল খেতে হবে।
- ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছে ভরপুর। তৈলাক্ত সামুদ্রিক মাছ ছাড়াও কৈ, শিং, চাপিলা, মলা সহ বিভিন্ন মাছে এই এসিড পাওয়া যায়।
চুলের যত্নে কমন কিছু ভুল
চুলের যত্নে প্রায়ই আমরা কমন কিছু ভুল করে থাকি। আমাদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে যে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে চুল পড়ে যায়, চুল কমে যায়, ভেঙ্গে যায়, চুল তার আদ্রতা হারিয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়।
বরং প্রতিদিন শ্যাম্পু না করলে আমাদের চুলের মধ্যে অয়লি ভাব থেকে যায়। তা থেকে খুশকি সহ আরো অনেক প্রবলেম হয়। যে কারণে আমাদের চুলগুলো পড়ে যায়, চুল লম্বা হতে পারে না, মজবুত হতে পারে না। তাই ভালো মানের শ্যাম্পু দিয়ে প্রতিদিন আমাদের চুল পরিষ্কার করতে হবে।
যেসব কাজ চুলের ক্ষতি করে
আমরা অনেকেই আছি শ্যাম্পু করি কন্ডিশনার ব্যবহার করিনা। চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার না করলে অনেক ক্ষতি হতে পারে। কারণ শ্যাম্পু করার পর মাথা থেকে ধুলোবালি দূর হয় সাথে সাথে সিবাম বা ন্যাচারাল অয়েল যেটা চুলের জন্য খুবই উপকারী সেটাও দূর হয়ে যায়। কন্ডিশনার এই নেচারাল অয়েল এর মত কাজ করে যা চুলের মধ্যে ফ্রিকশন কমায় ও চুলকে ঝলমলে সুন্দর করে তোলে।
চুল বেশি শক্ত করে বাধলে যেখানটাতে খুব টান পড়ে বিশেষ করে হেয়ার লাইনে সেখান থেকে চুল পড়ে যেতে পারে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলে Traction Alopecia. তাই বেশি শক্ত করে কখনো চুল বাধা যাবে না।
ভেজা চুল নিয়ে রাতে ঘুমানো যাবে না। কারণ ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া দুর্বল থাকে এবং ঘুমালে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এমন রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করতে হবে চুল বাধার ক্ষেত্রে যা কাপড়ে পেঁচানো থাকে, চিকন রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করা যাবে না।
অনেকে আছে চুল শুকানোর জন্য বা চুলের পানি ঝরানোর জন্য ভেজা চুলকে গামছা বা ওড়না দিয়ে বাড়ি দেয়।এটা চুলের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে। এতে চুল ভেঙে যায়, ফেটে যায়৷ ও ঝরে যায়।
চুল শুকানোর জন্য হেয়ার ড্রায়ার মেশিন ব্যবহার করা অনেক ক্ষতিকর।
পার্লারে চুল রিবন্ডিং করলে চুলের উপর অনেক প্রেসার পড়ে এবং চুলের ক্ষতি হয়। তাই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য চুলের রিবন্ডিং করলেও চুলের প্রোপার যত্ন নিতে হবে যাতে চুলের কোন ক্ষতি না হয়।
আরো পড়ুন: শুষ্ক ত্বকের প্রাকৃতিক ১০ টি ময়েশ্চারাইজার
চুল পড়ার সঠিক চিকিৎসা
- চুল সুন্দর স্বাস্থ্যজ্জল ও আকর্ষণীয় করার জন্য চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় দশটি কার্যকরী টিপস গুলো অনুসরণ করতে হবে।
- চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য একটি স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি করে সে অনুযায়ী প্রতিটি বিষয় মানতে হবে।
- রাসায়নিক ও কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার কম করতে হবে। আর ব্যবহার করলে প্রতিটি প্রোডাক্টের গুণগত মান যাচাই-বাছাই করে তারপর ব্যবহার করতে হবে।
- মানসিক স্ট্রেস কম নিতে হবে। মানসিক স্ট্রেস কম নিলে চুল পড়া কমার সাথে সাথে আরো অনেক সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
- চুল যদি খুব বেশি পরিমাণে পড়ে থাকে বা আকস্মিকভাবে পড়া শুরু হয় তাহলে একজন ভালো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে হবে এবং তার পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।
উপসংহার - শেষ কথা
চুল লম্বা ও সিল্কি হওয়ার ঘরোয়া উপায় ১০টি কার্যকরী টিপস যদি ভালোভাবে কাজে লাগানো যায় তাহলে সহজেই আমরা আমাদের চুলের সকল সমস্যা থেকে দূরে থাকতে পারবো। এতে করে আমাদের চুলের হারানো জেল্লা আর আভিজাত্য ফিরে পাবো।
সুন্দর চুল পেতে পার্লারে যেয়ে অতিরিক্ত টাকা ও সময়ের অপচয় না করে চুল লম্বা ও সিল্কি করার ঘরোয়া উপায় গুলো একবার ট্রাই করেই দেখুন না অনেক ভাল ফলাফল পাবেন। আমার বিশ্বাস এরপর আপনি নিজেই এই টিপসগুলো সবসময় অনুসরণ করবেন।
তাছাড়া পার্লারে অনেক সময় ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহারে চুলের আরো ক্ষতি হতে পারে। ঘরোয়া পদ্ধতিতে অল্প একটু পরিচর্যাতেই আপনি পেতে পারেন লম্বা সিল্কি ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল চুল। (1219)
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url