শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় ও ১৮ টি কার্যকরী টিপস

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় ১৮টি কার্যকরী টিপস আমাদের সকলের জানা দরকার। এগুলো জানা থাকলে শীতকালে ত্বকের যে বিভিন্ন সমস্যা হয় তা থেকে আমরা নিজেকে দূরে রাখতে পারবো এবং ত্বককে সুস্থ স্বাভাবিক ও ভালো রাখতে পারব।

image

শীতে সাশ্রয়ী ভাবে একদম ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি আপনার ত্বকের যত্ন নিবেন। সেজন্য আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

(নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন)

সূচিপত্র: শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় ১৮টি কার্যকরী টিপস

শীতে ত্বকের কি কি সমস্যা হতে পারে

প্রত্যেক ঋতুরই নিজস্বতা থাকে। তেমনি শীত ঋতুরও রয়েছে। শীতকালে বাতাসে আদ্রতা কম থাকে এবং প্রচুর ঠান্ডা পড়ে। এতে ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। যেমন:

  • ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও ত্বক টেনে জড়োসড়ো হয়ে আসছে এমন ভাব আসা
  • ত্বকে চুলকানি বা এলার্জি ভাব হওয়া
  • হাতের কনুই, আঙ্গুল এবং পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া
  • ঠোট ফেটে যাওয়া
  • হাত পায়ের চামড়া বুড়িয়ে যাওয়া
  • ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যেয়ে মুখ কালো হয়ে যাওয়া
  • মুখের চামড়া উঠা

শীতে মাথার ত্বকে কি কি সমস্যা হতে পারে

মাথার চামড়া আমাদের বাহ্যিক আবরণী ত্বকের বাইরে নয়। শীতে মাথার ত্বকের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। মাথার চামড়াও শুষ্ক হয়ে যায়, মাথায় প্রচুর পরিমাণে খুশকি হয়, চুলকানি হয়, ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ফোঁড়া দেখা যায় যা মাঝে মাঝে অনেক ব্যথা হয় এবং জ্বালাপোড়া হয়। যা চুল পড়ে যাওয়া সহ আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত করে।

শীতে ত্বক শুষ্ক হয় কেন?

আমাদের অনেকের স্বাভাবিক সুন্দর ত্বক থাকে। কিন্তু শীত আসার সাথে সাথে আগের মত সুন্দর থাকেনা। ত্বকে কেমন যেন একটা টেনে নেওয়া ভাব চলে আসে এবং ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শীত আসলে প্রকৃতিতে হিমেল হাওয়া বইতে থাকে এবং এ সময় বাতাসের আদ্রতা কমে যায়। সাথে সাথে আমাদের ত্বকও তার আদ্রতা হারায়। ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশুদ্ধ পানি প্রচুর পরিমাণে খাওয়ার কোন বিকল্প হয় না। পানি আমাদের ত্বক কে ভালো রাখে। শীতকালে অনেক ঠান্ডা পড়ে এবং আমাদের পানির পিপাসা কমে যাওয়ায় আমরা তেমন পানি পান করি না। এতে আমাদের ত্বক অনেক শুষ্ক হয়ে যায়।

কিছু ভিটামিন (যেমন: ভিটামিন এ, বি ইত্যাদি) রয়েছে যা শরীরে কম থাকলে তার প্রতিফলন ত্বকে দেখা যায়। ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। শীতে বেশি গরম পানিতে গোসল করলেও তার প্রভাব ত্বকে পড়ে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

শীতে ঠোঁট ফাটে কেন ও কালো হয় কেন

ঠোঁট আমাদের শরীরের এমন একটি অঙ্গ যার চামড়া অন্যান্য অঙ্গের চামড়া থেকে খুবই পাতলা থাকে। আমরা পূর্বেই জেনেছি শীতে বাতাসের আদ্রতা কম থাকে যা ত্বকের উপর প্রাকৃতিক তেলকে স্বাভাবিক অবস্থায় থাকতে দেয় না। ফলে আমাদের ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়, ফেটে যায় ও কালো হয়ে যায়।

এছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমানে পানি পান না করার ফলে ঠোঁট ফেটে যায়। যাচাই-বাছাই না করে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল যুক্ত প্রোডাক্ট ব্যবহার করার কারণেও ঠোঁট ফেটে যেতে পারে ও কালো হয়ে যেতে পারে।

অনেকের আবার অত্যাধিক পরিমাণে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যেতে পারে, কালো হয়ে যেয়ে রক্ত বের হতে পারে।যা খুবই কষ্টদায়ক। এমন অবস্থায় আমাদের কথা বলতে, হাসলে, কোন কিছু খাবার বেলায় খুবই সমস্যায় পড়তে হয়।

শীতে মুখের ত্বক কালো হয়ে যায় কেন/উজ্জ্বলতা হারায় কেন

আমাদের ত্বক বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কারোটা কিছুটা শুষ্ক, কারোটা তৈলাক্ত আবার কারো ত্বক স্বাভাবিক। শীতে কমবেশি সব ধরনের ত্বকেই প্রভাব পড়ে। তবে অন্যান্য ত্বকের তুলনায় শুষ্ক ত্বকের উপর প্রভাব একটু বেশিই পড়ে।

কেননা এমনিতেই শুষ্ক ত্বক তার ওপর শীতে আরো বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে ত্বকে মৃত কোষের সংখ্যাও পরিমাণে বেড়ে যায় ও ত্বক কে কালো করে ফেলে এবং ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারায়।

আমরা জানি, মেলালিন ত্বককে কালো করে। শীতকালে ত্বকে মেলালিনের পরিমাণ বেড়ে যায় এবং ত্বককে কালো দেখায়। ত্বকের মধ্যে উজ্জ্বল ভাব থাকে না।

শীতে মুখের চামড়া উঠে কেন

শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ফেটে যাওয়া, উজ্জ্বলতা হারানো সহ আরো সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় মুখ খসখসে হয়ে মুখের চামড়াও উঠতে থাকে।

শীতে মুখে চামড়া ওঠার প্রধান কারণই হচ্ছে অতিরিক্ত পরিমাণে মুখের ত্বকের শুষ্কতা। শীতে মুখের চামড়া উঠতে থাকলে তা একটি অসহ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় এর মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে আমরা সহজেই মুক্তি পেতে পারি।

শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায়

image

এতক্ষণ আমরা শীতকালীন ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সম্পর্কে জানলাম। নিন্মে শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় - ১৮টি কার্যকরী টিপস দেয়া হল:

১. বেসন আমাদের ঘরে থাকা পণ্যের মধ্যে একটি। কালো হয়ে যাওয়া নিষ্প্রভ ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরিয়ে আনতে বেসনের কোন জুড়ি নেই। প্রয়োজন মতো বেসন নিয়ে তাতে কিছুটা টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই পেস্ট ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিটের মত রাখতে হবে। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের উজ্জ্বল ভাব ফিরে আসবে এবং ত্বক ভালো থাকবে।

২. লেবুর রস এমনিতে ত্বকে লাগালে ত্বকের কালো দাগ দূর হয়। কিন্তু শীতে শুধু লেবুর রস ত্বকে লাগানো যাবে না। লেবুর রসের সাথে এটা মধু যোগ করে তা ত্বকে লাগাতে হবে। এতে করে আমাদের ত্বক থাকবে সুস্থ ও স্বাভাবিক।

৩. আমাদের এমন ঘর খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে নারকেল তেল নেই। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে নারকেল তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি খুবই কাজের একটি জিনিস। প্রতিদিন শুধু নারিকেল তেল ত্বকের উপর মাখলে বা মেসেজ করলে ত্বকের শুষ্কতা দূর হবে এবং ত্বক ভালো থাকবে।

৪. শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সমূহের মধ্যে অন্যতম হলো এলোভেরা। এলোভেরা বা এলোভেরার প্যাক শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে অনেক ভালো কাজ করে। প্রথমে প্রয়োজন মতো এলোভেরা পাতা নিয়ে তা পানিতে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে যাতে ত্বকে মাখলে এলার্জি না হয়। আর এলার্জি না থাকলে তা ভিজানোর দরকার নেই।

এরপর পাতাটিকে পানি থেকে নিয়ে একটি চা চামচের সাহায্যে আচড়িয়ে বা কুড়িয়ে জেল বের করে নিতে হবে। শুধু এই জেল ত্বকে লাগানো যাবে বা জেলের সাথে সামান্য কাঁচা দুধ মিশিয়ে তা ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষণ মেসেজ করতে হবে এবং ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের শুষ্কতা কমে যাবে, ত্বকে ফাটা ভাব চলে যাবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।

৫. কলা হাতের নাগালে পাওয়া একটি সহজলভ্য ফল। এটি প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবেও কাজ করে। শুধু কলা নিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে ২০ মিনিট মেসেজ করে তা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের ময়লা কাটবে, ত্বক ভালো থাকবে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

৬. একটি কলা তার সাথে কিছুটা লেবুর রস এবং কফি মিলিয়ে তা ত্বকে ১০ মিনিট রেখে হাতে অল্প অল্প পানি নিয়ে ত্বকে মেসেজ করে ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে এই টিপসটি অনুসরণ করলে আপনার ত্বক হবে ময়েশ্চারাইজ।

৭. দুই চা চামচ কফি পাউডার এর সাথে এক টেবিল চামচ টক দই ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এই পেস্ট মাথার ত্বক ছাড়া মুখ গলা সহ ত্বকের অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করা যায়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই পেস্ট লাগিয়ে শুকানোর পর তা পরিষ্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।

এতে ত্বক এর ইনস্ট্যান্ট গ্লো পাওয়া যায়। এছাড়া টক দই থাকায় এই প্যাক ব্যবহারের ফলে ত্বকের শুষ্কতা, ফাটা ভাব, চামড়া উঠা, কালো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দূর হয়ে যায়। তোকে একটি উজ্জ্বল ও টানটান ভাব চলে আসে। তাছড়া এই প্যাকটি আমি নিজেও ব্যবহার করে অনেক উপকার পেয়েছি। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করেই দেখুন না।

৮. টমেটো হল শীতকালীন একটি সহজলভ্য সবজি। এটি খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমনি ত্বকের যত্নেও খুবই উপকারী। টমেটোকে ভালো করে ব্লেন্ড করে এর সাথে মধু মেশাতে হবে। তা ত্বকে লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি সহ আরো অনেক সমস্যা দূর করে।

৯. শীতকালীন আরেকটি সবজি হচ্ছে গাজর। যদিও এখন সারা বছর সকল সবজি পাওয়া যায়। গাজর ভালো করে ব্লান্ড করে পেস্ট করে নিয়ে তা ত্বকে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে স্বাভাবিক পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলোর মধ্যে এটি একটি।

১০. কাঁচা হলুদ ও দুধের সর বা টকদই একসাথে ভালোভাবে ব্লান্ড করে পেস্ট তৈরি করে তা ত্বকে লাগাতে হবে। শুকিয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে এটি খুব ভালো কাজে দেয়। এটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় এবং ত্বক থাকে নরম, কোমল ও মসৃণ।

১১. শীতে অতিরিক্ত ঠান্ডা পড়ার কারণে আমরা খুব গরম পানি দিয়ে গোসল করে থাকি যা আমাদের তোকে আরো শুষ্ক করে তোলে এবং ত্বকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই প্রতিদিন গোসলের সময় স্বাভাবিক পানি অথবা খুব সমস্যা হলে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে।

১২. শীতে মাথার ত্বকেও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত চুল আঁচড়ালে মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এতে মাথার ত্বক সুস্থ ও ভালো থাকে।

১৩. শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় হিসেবে মাথার ত্বকের খুশকি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা পাতা থেকে চামচ দিয়ে কুড়িয়ে জেল বা রস বের করে নিতে হবে। তাতে ঘরে থাকা উপকরণ লেবুর রস ও নারকেল তেল একসাথে মিশিয়ে তা মাথার ত্বকে ভালোভাবে মেসেজ করে লাগাতে হবে এবং পরে তা ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে মাথার ত্বক ও চুল খুশকি মুক্ত থাকবে।

১৪. শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম-নীতি মানতে হবে। প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে মাথার ত্বক শীতকালে আরো রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তাই ২/৩ দিন গ্যাপ দিয়ে দিয়ে শ্যাম্পু করতে হবে। শ্যাম্পু করার আগে লেবুর রস এবং নারিকেল তেল দিয়ে ভালো করে মেসেজ করে কিছুসময় পর তা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

১৫. টক দই ও পাকা কলা একসাথে মিশিয়ে পেস্ট করে তা চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট রাখার পর এটি এন্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে খুশকি চলে যাবে এবং মাথার ত্বক ও চুল সুস্থ থাকবে। শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় সমূহের মধ্যে মাথার ত্বকের যত্নে এটি খুবই উপকারী।

১৬. শীতে ঠোঁট ফাটা দূর করতে মধু, মাখন ইত্যাদি ঠোঁটে প্রতিদিন মেসেজ করা যেতে পারে।

১৭. ঠোঁট ফাটা, ঠোঁটের চামড়া উঠা, রক্ত বের হওয়া ইত্যাদি সমাধানে ঠোঁটে অলিভ অয়েল লাগানো যেতে পারে।

১৮. মধুর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে মেসেজ করলে ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়, ঠোঁট ফেটে যাওয়া বন্ধ হয় ।

শীতে ত্বক সুস্থ রাখতে যা খাবেন

বাহ্যিক ভাবে শীতে ত্বকের যত্ন অবলম্বন করার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ ভাবেও ত্বককে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের খাদ্যাভ্যাসের প্রতি লক্ষ রাখতে হবে। অভ্যন্তরীণভাবে শীতে ত্বকের যত্নে যা খাবেন:

আরো পড়ুন: শীতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির উপায় ও ৫ টি কার্যকরী টিপস

ফলমূল: বিভিন্ন রঙের ফলমূল যেমন: কমলা, মালটা, চালতা, কামরাঙ্গা, লেবু, টক জাতীয় বিভিন্ন ফল, পাকা পেঁপে, আমলকি, নারিকেল, জলপাই, অ্যাভোকাডো, বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও বীজ ইত্যাদি।

শাকসবজি: প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের ও রংয়ের শাকসবজি খেতে হবে। যেমন: কাঁচা-পাকা টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, মিষ্টি আলু, গাজর, ব্রকলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাল শাক, পালং শাক ইত্যাদি।

এছাড়াও শুধু দই বা দইয়ের সাথে শসা, টমেটো, গাজর একসাথে মিশিয়ে এক বাটি সালাদ তৈরি করে প্রতিদিন খাওয়া যায়। ওটমিল, ডিম, দুধ, দুধের তৈরি বিভিন্ন খাবার, প্রচুর পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে(প্রতিদিন মিনিমাম ৮ থেকে ৯ গ্লাস হতে হবে)। মুরগি, গরু, খাসির মাংস, ডাল ইত্যাদি খেতে হবে।

এগুলোর পাশাপাশি আমাদের ত্বক ভালো রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে, স্ট্রেস কম নিতে হবে এবং নিয়মিত শরীর চর্চা করতে হবে।

উপসংহার - শেষ কথা

শীত আসলে শীতে ত্বকের যত্নে গুলো সকলেরই মানতে হবে। তা না হলে ত্বকে অনেক সমস্যা দেখা দিবে এবং আমাদের অনেক কষ্ট ভোগ করতে হবে। আর যদি শীতে ত্বকের যত্নে ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলি তাহলে ত্বকে কোনো সমস্যাই হবে না। বরং ত্বক হবে সুস্থ, সবল, কোমল ও মসৃণ। (1219)

Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url