মাথার পিছনে ব্যথার ২০ টি কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
মাথার পিছনে ব্যথার কারণ হিসেবে ২০ টি পয়েন্ট সহ আরো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে মাথা ব্যথা যদি সবসময় হয়ে থাকে তাহলে তা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনেক বিষয়ে সচেতন থাকতে পারবেন। বেশ কয়েকজন স্বনামধন্য ডাক্তারের পরামর্শক্রমে লেখা হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
(নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন)
সূচিপত্র: মাথার পিছনে ব্যথার ২০ টি কারণ লক্ষণ ও প্রতিকার
- মাথার পিছনে ব্যথার কারণ সম্পর্কে কিছু কথা
- মাথার পিছনে ব্যথা কি স্বাভাবিক বিষয়
- মাথার পিছনে ব্যথার কারণ ২০ টি
- মাথার পিছনে ব্যথার লক্ষণ
- মাথার পিছনে ব্যথার প্রতিকার
- উপসংহার - শেষ কথা
মাথার পিছনে ব্যথার কারণ সম্পর্কে কিছু কথা
প্রায়ই যদি মাথার পিছনে ব্যথা হয় তাহলে তাকে সাধারণভাবে নেওয়া উচিত নয়। এই ব্যথা বড় কোন রোগের লক্ষণ হতে পারে। তাই এ ব্যথাকে গুরুত্ব সহকারে না দেখলে তা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এবং অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করতে পারে।
আমরা যদি আমাদের জীবনযাত্রা ও অভ্যাস পরিবর্তন করি, সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করি, চিকিৎসকের পরামর্শে নিশ্চিত হয়ে সে অনুযায়ী ঔষধ খাই তাহলে সহজেই মাথার পিছনে ব্যথা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো।
মাথার পিছনে ব্যথা কি স্বাভাবিক বিষয়?
সাধারণত হঠাৎ বা মাঝে মাঝে মাথা ব্যথা, মাথার পিছনে ব্যথাকে আমরা তেমন গুরুত্ব দেই না। এটাকে স্বাভাবিক বিষয় বলে মনে করি। আমরা ভাবি, এমনিতেই হচ্ছে একটু পরে ভালো হয়ে যাবে। যদিও এটা আমাদের কাজকর্ম করতে গেলে সমস্যার সৃষ্টি করে। এক্ষেত্রে আমরা অধিকাংশই মাথার পিছনে এমন ব্যথা কে সহ্য করি আবার অনেকে টুকটাক ঔষধ খেয়ে তা দূর করি।
কিন্তু মাথার পিছনে ব্যথাকে তুচ্ছ একটি বিষয় বলে ছেড়ে দেওয়া একদম উচিত নয়। আপনার যদি মাথার পিছনে ব্যথা হয় তাহলে আপনাকে অবশ্যই একজন ভালো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। আর ব্যথার তীব্রতা যদি বেশি হয় তাহলে জরুরী ভিত্তিতে এর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে চিকিৎসা নিতে হবে।
মাথার পিছনে ব্যথার কারণ ২০ টি
কোন একটি কারণকেই শুধু আমরা মাথার পিছনে ব্যথার সকল কারণ হিসেবে ধরতে পারিনা। এর অনেক কারণ থাকতে পারে। আসুন জেনে নেয়া যাক, মাথার পিছনে ব্যথার কি কি কারণ থাকতে পারে।
- টেনশন
- ক্লাস্টার মাথা ব্যথা
- মাইগ্রেন
- উচ্চ রক্তচাপ
- নিন্ম রক্তচাপ
- শারীরিক সমস্যা
- মস্তিষ্কের টিউমার
- খারাপ ভঙ্গি
- বাত
- সার্ভিকোজেনিক মাথাব্যথা
- অত্যধিক ক্ষুদা লাগা
- অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া
- ধূমপান
- সাইনাস ইনফেকশন
- মেনিনজাইটিস
- টেম্পোরাল আরটারাইটিস
- চোখে সমস্যা
- ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
- ঘাড়ে আঘাত
- কম বা নিম্নচাপের মাথাব্যথা
টেনশন: অতিমাত্রায় টেনশন করা মাথার পিছনে ব্যথার একটি কারণ বলে বিবেচিত। এ কারণে যে মাথা ব্যথা হয় তা সাধারণত মাথার পিছনে হতে পারে, ডান দিকে হতে পারে, এমনকি কপালেও সেটা হতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক দুশ্চিন্তা, হতাশা, পানি কম খাওয়া, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদি সবই এই মাথাব্যথার কারণ। এই ধরনের মাথা ব্যথা বেশ কয়েকদিন ধরে থাকতে পারে।
ক্লাস্টার মাথা ব্যথা: ক্লাস্টার মাথাব্যথা মাথার একাংশে খুব বেশি ব্যথার উদ্রেগ জাগায়। এ ব্যথা বিশেষ করে চোখের পিছনে হয়ে থাকে। এই ব্যথায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের দিনের একই সময়ে একটু পর পর ব্যথা শুরু হয়। ব্যথা দুই এক সপ্তাহ এমনকি মাসও ছাড়িয়ে যেতে পারে । এই ব্যথা মাথার পিছনে সামনে দু জায়গায়ই হয়ে থাকে এবং দাঁড়িয়ে বা বসে থাকার চেয়ে শুয়ে পরা অবস্থায় বেশি বেড়ে যেতে পারে।
মাইগ্রেন: মাইগ্রেনের কারণে মাথার পেছনে ব্যথা হয়ে থাকে। এতে পুরুষ মহিলা সবাই আক্রান্ত হতে পারে। তবে পুরুষের আক্রান্তের সংখ্যা মহিলাদের চেয়ে কম। মাইগ্রেনের মাথা ব্যথা হলো এমন একটি ব্যথা যার পিছনে বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ, হরমোন পরিবর্তন হয়ে যাওয়া, কিছু খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়। ছোটবেলা থেকে শুরু করে এই ব্যথা আস্তে আস্তে অনেক বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং প্রায়ই এটা হয়।
উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ অনেক বড় একটি সমস্যা। আমরা আমাদের চারপাশে অনেক উচ্চ রক্তচাপের রোগী দেখতে পাই। মাথার পেছনে ব্যথা হওয়ার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ কেননা রক্তচাপ বাড়ার সাথে মাথার পিছনে ব্যথার যোগসাদৃশ্য রয়েছে।
নিন্ম রক্তচাপ: মানুষের শরীরের রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়া এবং কমে যাওয়া দুটোই অনেক ক্ষতিকর। যার কারণে মানুষকে অনেক ভয়াবহ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। রক্তচাপ বেড়ে গেলে এবং কমে গেলে দুটো কারণেই মাথার পিছনে ব্যথা হতে পারে।
শারীরিক সমস্যা: আমাদের বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকতে পারে। এ থেকে মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেমন: অনেক সময় আমাদের সাধারণ সর্দি-জ্বর হলেও তখন মাথা ঘোরানো সহ মাথার পিছনে ব্যথা করে।
মস্তিষ্কের টিউমার: কারো মস্তিষ্কে টিউমার হলে মাথার পিছনে ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। এটি মাথার পিছনে ব্যথার অন্যতম একটি কারণ।
খারাপ ভঙ্গি: মাথার পিছনে ব্যথার জন্য আপনি নিজেও অনেকটা দায়ী হতে পারেন। কেননা আপনার অসতর্ক হাঁটাচলা ও বসে থাকার ভঙ্গিও মাথার পিছনে ব্যথার কারণ হতে পারে।
বাত: বাতের ব্যথা আমাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি শব্দ। বাতের কারণেও মাথার পিছনে ব্যথা হয়। ঘাড়ে শোথ এবং প্রদাহকে বাতের মাথা ব্যথার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। মাথার পিছনে ব্যথা ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে বাতের ব্যথা হয়ে থাকে।
সার্ভিকোজেনিক মাথাব্যথা: সার্ভিকোজেনিক মাথা ব্যথা হল মাথা ব্যাথার এমন একটি ধরন যার কারণে মাথার পিছনে ব্যথা হয়। এই মাথাব্যথায় আক্রান্ত রোগীর শুয়ে থাকা মোটেও উচিত নয়। কারণ এতে রোগীর উপর আরো বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে।
অত্যধিক ক্ষুদা লাগা: অতিরিক্ত যখন ক্ষুধা লাগে তখন অনেক সময় মাথার পেছনে ব্যথা অনুভূত হয়। অনেকেই আছে যারা কাজের কারণে দেরিতে খায় বা ইচ্ছে করেও একটু দেরিতে খায়। যা কিনা মারাত্মক ক্ষতিকর। এতে করে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে। ক্ষুধা পেটে হঠাৎ খাবার খেলে পেটে গ্যাসও হয়ে থাকে।
অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া: অক্সিপিটাল নিউরালজিয়া হল মাথা ব্যথার একটি ধরনের নাম। এর ফলে মাথার বিভিন্ন দিকে যেমন: উপরে পেছনে ব্যথা হতে পারে।
ধূমপান: কথায় আছে, ধূমপান বিষ পান। ধূমপানে শরীরের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকার নেই। যারা ধূমপান করে তারা সেটাতে আসক্ত হয়ে যায় ফলে সহজে তা ছাড়তে পারে না। একজন ধুমপায়ী ধূমপানের ফলে কেবল নিজেরই ক্ষতি করেন না যারা তার আশেপাশে থাকেন তাদেরও অনেক ক্ষতি করেন।
ধূমপানের কারণে শরীরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ে। যেকোনো বিষয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করা, রাতে না ঘুমানো ইত্যাদি ক্ষতিকর দিকগুলো ধূমপানের কারণে হয়ে থাকে। যা মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার সহায়ক হিসেবে কাজ করে।
সাইনাস ইনফেকশন: সাইনাস ইনফেকশনের কারণেও ব্যথা হয়। এটি মাথার পিছনে ব্যথার অন্যতম কারণ। সাইনাস ইনফেকশনে শুধু মাথার পেছনে নয়, এর জন্য শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ পতঙ্গে ব্যথা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
মেনিনজাইটিস: মাথার পিছনে ব্যথা হওয়ার কারণ হিসেবে মেনিনজাইটিসকেও চিহ্নিত করা হয়। মানুষের মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের যে আবরণী থাকে তার প্রদাহকে মেনিনজাইটিস বলে।
টেম্পোরাল আরটারাইটিস: সাধারণত একটু বেশি বয়সের মানুষের ক্ষেত্রে এ ধরনের মাথাব্যথায় আক্রান্ত হতে দেখা দেয়। টেম্পোরাল আর্টারাইটিস তখনই হয় যখন মানুষের মাথার রক্তনালীর ক্ষতি হয়।
চোখে সমস্যা: চোখের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন: চোখের দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হলে, দীর্ঘক্ষণ নিচের দিক তাকিয়ে পড়াশোনা করলে ও কাজ করলে, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের দিকে, মোবাইলের দিকে তাকালে ইত্যাদি চোখের ক্লান্তিতে, আবার চোখের পেশীতে কোন টান পড়লেও মাথার পিছনে ব্যথা হতে পারে
ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া: আমরা জানি, ঔষধ আমাদের রোগব্যাধি থেকে মুক্তি দান করে। তা সত্ত্বেও অনেক ঔষুধের আবার সাইড ইফেক্ট থাকে। বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের ফলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলেও মাথার পিছনে ব্যথা হতে পারে।
ঘাড়ে আঘাত: অনেক সময় মাথার পিছনে ব্যথা ঘাড়ে কোন জোরে আঘাত লাগার কারণেও হয়ে থাকে। এই ব্যথা প্রথমেই মাথার পিছন দিকে শুরু হয় না। এটি প্রথমে মাথার যেকোনো এক সাইড থেকে শুরু হয় তারপর তা পিছনের দিকে যায়।
কম বা নিম্নচাপের মাথাব্যথা: কম বা নিম্নচাপের মাথাব্যথা তখনই হয় যখন আমাদের কারো মেরুদন্ডের স্পাইনাল ফ্লুইড লিক হয়ে থাকে।বিভিন্ন কারণে এই লিক হয়ে ফ্লুইড বের হতে পারে।
মাথার পেছনে ব্যথার লক্ষণ
আমরা ইতোমধ্যে জেনেছি মাথার পিছনে ব্যথার সম্ভাব্য কিছু কারণ। এখন আমরা জানবো এসব কারণগুলোর কিছু লক্ষণ সম্পর্কে:
- সাইনাসের সমস্যা হলে মাথা, চোখ ও নাকের চারপাশে ব্যথা হয়। ঠান্ডা জনিত বিভিন্ন রোগ দেখা দেয়।
- অনেক সময় মাথার পিছনে তীব্র ব্যথা হয় যা নিউরোলজিয়া এর সাথে সম্পৃক্ত।
- বাতের ব্যথায় ব্যথা ও ফোলা ফোলা ভাব থাকতে পারে।
- দুর্বল ভঙ্গি হলে মাথার পেছনে ঝাঁকি দিয়ে ব্যথা করে
- ঘাড়ে আঘাত জনিত ব্যথা হলে তা মাথার এক সাইড থেকে শুরু হয়ে পিছনের দিকে যায়।
- টেম্পোরাল আরটারাইটিস মাথায় কাপুনি দিয়ে ব্যথা শুরু হয়।
- টেনশনের কারণে যে মাথা ব্যথা হয় তা শুধু মাথার পিছনে নয়, পুরো মাথার বিভিন্ন অংশে চাপ দিয়ে ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেনের ব্যথায় রোগীর বমির ভাব হতে পারে, অনেকের আবার বমিও হয়। এই ব্যথার রোগীরা কিছু কিছু জিনিস সহ্য করতে পারে না। যেমন: আলো, শব্দ, গন্ধ ইত্যাদি। ব্যথার মাত্রা অনেক বেশিও হতে পারে। রোগীর চোখে বিভিন্ন রঙের আলোর ঝলকানির মত লাগতে পারে। অন্ধকারে থাকলে রোগী অনেকটা ব্যথা থেকে স্বস্তি অনুভব করে।
মাথার পিছনে ব্যথার প্রতিকার
মাথাব্যথা যদি স্বাভাবিক পর্যায়ে না থেকে তা খুব তীব্র হয়, সহনশীল পর্যায়ে না থাকে ও গুরুতর হয় তখন অবহেলা না করে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করাতে হবে। অবহেলা করলে রোগী এবং রোগীর পরিবারের জন্য খুবই ভয়াবহ অবস্থা ডেকে আনতে পারে। ডাক্তার প্রদত্ত সকল নিয়মকানুন মানতে হবে এবং ঔষধ ঠিকঠাক মতন খেতে হবে।
এভাবে কিছুদিন চলার পর দেখতে হবে রোগীর অবস্থার ভালো কোন পরিবর্তন আসছে কিনা? যদি আসে তাহলেই একজন রোগী ধীরে ধীরে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে। তখন মাথার পিছনে ব্যথাকে বড় কোন রোগই মনে হবে না।
আরো পড়ুন: হাত পা ঝিমঝিম করার প্রতিকার ও ১০টি কার্যকরী উপায়
এ ব্যথা গুলো দূর করতে নিম্মের ব্যবস্থা গুলো গ্রহণ করা যেতে পারে:
১, রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে।
২, শরীরচর্চা করতে হবে। নিয়মানুযায়ী প্রতিটি কাজ করতে হবে।
৩, কোথাও বসার ক্ষেত্রে ও হাঁটাচলা করার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
৪, ধূমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় সকল পণ্য থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে হবে। যারা এগুলোতে আসক্ত তাদেরকে এসব বাদ দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে।
৫, চোখের সমস্যার জন্য ব্যথা হলে সমস্যার ধরন অনুযায়ী তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার বা মোবাইল চালানো যাবে না, একটানা নিচের দিক তাকিয়ে পড়াশুনা বা কাজ করা যাবে না। বিরতি দিয়ে দিয়ে কাজ করতে হবে। দৃষ্টিশক্তি জনিত চোখের সমস্যা হলে অবশ্যই একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ এর পরামর্শ নিতে হবে। শুধু চোখ নয় এমনই ভাবে যে সমস্যা পরিলক্ষিত হবে সে অনুযায়ী ডাক্তার দেখাতে হবে।
৬, সাইনাসের সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শক্রমে ঔষধ খেতে হবে। নাকে ড্রপ দেয়ার প্রয়োজন হলে তা দিতে হবে। ঠান্ডা জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ঘরোয়া বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। যেমন: কাশির জন্য বাসক পাতার রস ও তুলসী পাতার রস খাওয়া যেতে পারে মধু দিয়ে, আদা ও লেবুর চা খাওয়া যেতে পারে ইত্যাদি।
৭, টেনশন কোন সমস্যার সমাধান করতে পারে না, তাই কোন বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত টেনশন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকা যাবে না,রুটিন মাফিক ঠিক সময় খাওয়া দাওয়া করতে হবে। বিশুদ্ধ পানি খেতে হবে, ঘুম ও বিশ্রাম নিতে হবে।
উপসংহার - শেষ কথা
আমরা সকলেই চাই সুস্থ, স্বাভাবিক ও সুন্দর জীবন যাপন করতে। কিন্তু যখন কোন রোগ আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে তখন আমরা সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারি না। মাথার পিছনে ব্যথার কারণ সহ কোন রোগকেই অবহেলা বা ছোট করে দেখা উচিত না।
কারণ ছোট করে দেখার ফলে যে রোগটি শরীরে বেশি গারিয়ে যায় সেটি পরে বড় কোন রোগে পরিণত হয়। মাথার পেছনে ব্যথার ২০টি কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কিত আর্টিকেলটি পড়ে আপনি অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক কিছুই জেনেছেন। যা আপনাকে এই ধরনের সমস্যার লক্ষণ দেখে, কারণ জেনে রোগ নির্ণয় করতে সাহায্য করবে এবং প্রতিকার স্বরূপ আপনি সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। (1219)
ধন্যবাদ-Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url