দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ও ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার

দ্রুত কাশি কমানোর উপায় সম্পর্কে জানা থাকলে আমরা সহজেই কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি। তবে অনেক সময় সঠিক পদ্ধতি না জানায় ব্যর্থ হই। তাই আজকের আর্টিকেলটি সাজানো হয়েছে দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ও ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার নিয়ে। দেশী-বিদেশী নানা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী আর্টিকেলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।

image

আশা করি এই লেখাটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনারা কাশির প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানবেন এবং সহজেই এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে পারবেন।

(নিচের যে অংশ থেকে পড়তে চান ক্লিক করুন)

সূচিপত্র: দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ও ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার

রোগ ও সমস্যালাইফ স্টাইল

কাশির প্রকারভেদ

কাশির প্রকারভেদ প্রধানত দুই প্রকার:

  1. শুষ্ক কাশি
  2. শ্লেষ্মাযুক্ত কাশি

নাম থেকেই বুঝতে পারছি শুষ্ক কাশি হলো যেই কাশিতে কোন শ্লেষ্মা অর্থাৎ কফ আসে না। আর শ্লেষ্মাযুক্ত কাশির ক্ষেত্রে কাশির সাথে কফ আসে।

উভয় প্রকার কাশিরই আছে নির্দিষ্ট কারণ ও চিকিৎসা। চিকিৎসা শুরুর আগে তাই কাশির প্রকারভেদ জেনে নিতে হবে।

কাশি কেন হয়?

কাশিকে আমরা অনেকেই একটি আপদ ভাবি। তার পেছনে অবশ্য যথেষ্ট কারণও আছে। কাশি আমাদের জন্য বেশ কষ্টকর। বিশেষত যখন অনেকদিন ধরে এটা থেকে যায়। কিন্তু জানেন কি, কাশি কেন হয়?

আসলে এটি আমাদের শরীরের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, "ঠিক পড়েছেন" যখন শ্বাসনালীর মধ্যে এমন কিছু প্রবেশ করে যা সেখানে প্রবেশ করার কথা না, তখনই কাশি হয়। মূলত কাশির মাধ্যমে আমাদের শ্বাসনালী থেকে আমরা ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দিই।

এটি গেলো স্বাভাবিক কাশি। তবে কাশি যদি অতিরিক্ত হয়, আর কিছুদিন যাবৎ চলতে থাকে, তাহলে সেটা রোগের লক্ষণ। অনেকসময় এটা হয় সাধারণ ঠান্ডাজনিত কাশি। আবার কখনও কখনও হতে পারে কোন জটিল রোগের লক্ষণ। যেমন: যক্ষা।

এজন্যই কাশিকে অবহেলা করা ঠিক না। এটি হতে পারে কোন বড় সমস্যার সতর্কবার্তা। তাই কোন কাশি কেন হয় তা জেনে পদক্ষেপ নিন।

কাশি কতদিন থাকে?

কাশি কতদিন থাকে তা নির্ভর করে এর কারণের উপর। কখনো কখনো হঠাৎ কাশি শুরু হয়ে কিছুদিন থাকে। কখনো আবার দীর্ঘদিন থাকে।

তিন সপ্তাহের কম সময় ধরে কাশি থাকলে সচরাচর তা জটিল কোন রোগের লক্ষণ না। তবে অনেকদিন ধরে চলতে থাকলে তা হতে পারে বড় কোন সমস্যার ইঙ্গিত।

তাই অনেকদিন যাবৎ কাশি চলতে থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

কাশি কিসের লক্ষণ?

কাশি কিসের লক্ষণ তা জানা থাকলে আমরা তার সঠিক চিকিৎসার পদক্ষেপ নিতে পারি। তাই নিম্নে বর্ণিত হলো কাশি কিসের লক্ষণ হতে পারে:

  1. শ্বাসনালীতে ধুলাবালি, ধোঁয়া, খাদ্য ইত্যাদি প্রবেশ করলে কাশি হতে পারে।
  2. ঠান্ডা লাগার ফলে কাশি হতে পারে। অর্থাৎ সাধারণ সর্দিজনিত কাশি।
  3. কোভিড-১৯ এর লক্ষণ হতে পারে।
  4. যক্ষা, এইডস ইত্যাদি রোগের লক্ষণ হতে পারে দীর্ঘদিন ধরে চলমান কাশি।
  5. কাশি হতে পারে ফুসফুসের ক্যান্সারের একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষণ।
  6. অ্যাজমার ফলে কাশি হতে পারে।
  7. কোন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে হতে পারে কাশি।

মূলত ৮ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি অব্যাহত থাকলে তা হতে পারে কোন সিরিয়াস রোগের লক্ষণ। এক্ষেত্রে দেরি না করে ডাক্তারের কাছে যান।

কাশি কি ছোঁয়াচে?

এতোক্ষণে হয়তো আপনাদের মনে প্রশ্ন জেগেছে যে কাশি কি ছোঁয়াচে? উত্তরটা হলো, কাশির মাধ্যমে অনেক সময় রোগজীবাণু একজনের শরীর থেকে আরেকজনের শরীরে সংক্রমিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ: কোভিড-১৯ কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে।

তাই কাশির সময় মুখে রুমাল বা টিস্যু চাপা দিন। হাত জীবাণুমুক্ত না করে অন্যকে স্পর্শ করবেন না।

এজন্য কাশি হলে সার্বক্ষণিক নিজের সাথে টিস্যু, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি রাখতে পারেন। এছাড়া মাস্ক পরিধান করতে পারেন।

কাশি প্রতিরোধের উপায়

কাশি প্রতিরোধের উপায় গুলো নিম্নরূপ:

  • শরীরে অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ফলে সর্দিকাশি হতে পারে। তাই শরীরে বেশি শীত লাগাবেন না।
  • কাশি হয়েছে এমন ব্যক্তির থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। কারণ তিনি কাশি দিলে সেই কাশির সাথে নির্গত ড্রপলেটের দ্বারা আপনিও সংক্রমিত হতে পারেন।
  • অতিরিক্ত ঠান্ডা কিছু খাওয়া বা পান করা থেকে বিরত থাকুন।
  • ধূমপান কাশির কারণ হতে পারে। তাই ধূমপান থেকে নিজে বিরত থাকুন, আর অন্য কেউ করলে তার থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন।
  • শরীরের যত্ন নিন। সুষম খাবার খান, নিয়মিত শরীরচর্চা করুন, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করুন। এতে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ও সর্দিকাশি সহজে হবে না।
  • সর্বদা নিজেকে জীবাণুমুক্ত রাখুন। পাবলিক প্লেসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাস্ক ব্যবহার করুন। খাওয়াদাওয়ার আগে ভালোভাবে হাতমুখ জীবাণুমুক্ত করে নিন।
  • অন্য কোন রোগের কারণে কাশি হয়ে থাকলে উক্ত রোগের চিকিৎসা করুন।
  • কোন ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কাশি হচ্ছে কি না খেয়াল করুন।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খান।
  • প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো হলো কাশি প্রতিরোধের উপায়। এগুলো মেনে চললেই আশা করা যায় আমরা কাশি থেকে আত্মরক্ষা করতে পারবো।

দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার

এবার আমরা জেনে নেবো আমাদের আজকের আলোচনার মূল টপিক দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার। চলুন ঝটপট এগুলো জেনে নিই:

  • আদা
  • হলুদ
  • লেবু
  • রসুন
  • পেঁয়াজ
  • গরম পানি
  • মধু
  • মশলা চা
  • তুলসী
  • লবঙ্গ
  • বাসক
  • বেসিল
  • গোল মরিচ
  • মেন্থল

১। আদা: আদা একটি অতি উপকারী ভেষজ উপাদান। বহুদিন ধরেই এই উপমহাদেশের মানুষ খাবারে মশলা হিসেবে এবং নানা চিকিৎসায় আদা ব্যবহার করে আসছেন। কাশি সারাতেও আদা অতি দ্রুত কাজ করে।

গরম পানিতে একটি আদার টুকরো ভালোমতো ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানি পান করলে কাশি থেকে আরাম পাবেন। এছাড়া মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এক্ষেত্রে উক্ত আদার পানির সাথে দুই চা চামচ মধু মেশাতে পারেন। আবার চায়ের পানিতেও ছেড়ে দিতে পারেন কয়েক টুকরো আদা। এতে চায়ের স্বাদ যেমন বাড়বে, তেমনি পাবেন সর্দিকাশি থেকে পরিত্রাণ।

২। হলুদ: হলুদকে আমরা একটি মশলা হিসেবেই চিনি। তবে এর নানা ঔষধি গুণাবলীও রয়েছে। কাটাছেঁড়া, সর্দিকাশির চিকিৎসায়, এবং দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমাদের নানী-দাদীরা হলুদের ব্যবহার করতেন।

আধা কাপ পানিতে এক চা চামচ হলুদ গুঁড়োর সাথে মেশান এক চা চামচ কালো মরিচ। সম্ভব হলে কিছু দারুচিনিও ছেড়ে দিন। এবার পানিটি ভালোভাবে ফুটিয়ে পান করুন। কাশি থেকে পরিত্রাণ পাবেন সহজেই।

৩। লেবু: লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি পুষ্টিকর ফল। বিভিন্ন খাদ্যে লেবুর রস যোগ করে আলাদা এক স্বাদ এবং বাড়িয়ে তোলে তার পুষ্টিগুণ। কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে দুই চা চামচ লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে চারবার সেবন করুন। আশা করা যায় অতি দ্রুত কাশি দূর হবে।

৪। রসুন: রসুন হতে পারে কাশির আরেকটি ঘরোয়া প্রতিকার। রসুনের ঔষধি গুণাবলী সম্পর্কে আমরা কমবেশি প্রায় সবাই জানি। এক কাপ পানিতে ২-৩ টি রসুনের কোয়া নিন এবং ভালোভাবে পানিটি ফোটান। পানিটি ঠান্ডা হলে এতে মধু মিশিয়ে পান করুন। উপকার পাবেন।

৫। পেঁয়াজ: পেঁয়াজ যে কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে তা হয়তো অনেকেই জানি না। কিন্তু এক চা চামচ পেঁয়াজ রস যদি এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে দিনে দুইবার সেবন করেন, তাহলে অতি দ্রুত কাশি দূর হবে।

৬। গরম পানি: কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গড়গড়া বা গার্গল করলে তা কাশি কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক কাপ কুসুম গরম পানি নিন। এতে মেশান আধা চা চামচ লবণ। এরপর সেই মিশ্রণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট গড়গড়া করুন। এটি প্রতিদিন কয়েকবার করে করতে থাকুন। দেখবেন কাশি কমে যাবে ও আরাম পাবেন।

৭। মধু: উপরে আমরা বেশ কয়েকবার মধুর ব্যবহার উল্লেখ করেছি। বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি থেকে পরিত্রাণ পাবেন। এছাড়া রোজ রাতে শোয়ার আগে খেতে পারেন এক চা চামচ মধু। আবার গরম দুধের সাথেও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। চায়ে চিনির বদলে মেশাতে পারেন মধু। এতে কাশি দূর হওয়া ছাড়াও পাবেন আরও নানা উপকার।

৮। মশলা চা: মশলা চা সর্দিকাশি দূর করার এক সুস্বাদু ঔষধ। আদা, লবঙ্গ, দারুচিনি, গোল মরিচ, সম্ভব হলে কিছুটা বেসিল পাতা, তেজ পাতা, ইত্যাদি উপাদান মিশিয়ে চায়ের পানি ফোটান। এরপর সেই পানিতে চা বানিয়ে পান করুন। এক্ষেত্রে চিনি পরিহার করাই উত্তম। চিনির বদলে মধু দিতে পারেন।

৯। তুলসী: ছোটবেলায় নানী-দাদীদের পরামর্শে কাশি থেকে নিরাময়ে তুলসীর রস খেয়েছি অনেকেই। খেতে খুব একটা ভালো না লাগলেও এটি খুব দ্রুত কাজ করে। তুলসীর রসের সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিন। এটি দিনে কয়েকবার পান করুন। দ্রুত কাশি কমবে।

১০। লবঙ্গ: লবঙ্গ কাশি থেকে অতি দ্রুত আরাম দেয়। এটি খাওয়ার পদ্ধতিও বেশ সহজ। মুখের মধ্যে দুই-একটি লবঙ্গ রেখে চাপ দিয়ে রস বের করে খান। খুসখুসে কাশি দূর হবে। এছাড়া চায়ের মধ্যেও লবঙ্গ মেশাতে পারেন। আলাদা স্বাদও আসবে, কাশিও সারবে।

১১। বাসক: একটি পাত্রে কিছু পানি নিয়ে তাতে বাসক পাতা ফুটিয়ে সকাল-সন্ধ্যা সেই পানি কুসুম গরম অবস্থায় খেলে অতি দ্রুত কাশি কমবে। তেতো লাগলে চিনি বা মধু মেশাতে পারেন।

১২। বেসিল: বেসিল পাতা বেঁটে বা ব্লেন্ড করে রস বের করুন। এরপর এই রসে মেশান কিছুটা আদার রস এবং মধু। এই মিশ্রণটি পান করতে থাকলে দ্রুত কাশি সারবে।

১৩। গোল মরিচ: গোল মরিচ বা কালো মরিচ (black pepper) কাশি থেকে পরিত্রাণ পেতে সাহায্য করে। গোল মরিচ গুঁড়ো করে বিভিন্ন খাবারে মেশাতে পারেন। এতে খাবারে স্বাদ আসবে। আবার চায়ের মধ্যেও দিতে পারেন। এটি যেমন খাবার ও চায়ের স্বাদ বাড়ায়, তেমনি কাশি সারতে সাহায্য করে।

১৪। মেন্থল: মেন্থল গলায় ঠান্ডা ঠান্ডা এক ধরণের অনুভূতি জাগায়। এতে খুশখুশে কাশি থেকে আরাম পাওয়া যায়। এজন্য মেন্থল ক্যান্ডি মুখে রাখতে পারেন। এতে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন।

এগুলোই হলো দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার। আশা করি এগুলো সুন্দরভাবে মেনে চলার মাধ্যমে দ্রুত উপশম হবে আপনার বা আপনার প্রিয়জনের অস্বস্তিকর কাশি।

কাশি কিছুতেই কমছে না?

কাশি কিছুতেই কমছে না এমন হলে তা হতে পারে কোন জটিল রোগের লক্ষণ। এরকম দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।

আপনার রোগের কারণ শনাক্ত করে ডাক্তার কোন ওষুধ দিতে পারেন। দিতে পারেন দীর্ঘমেয়াদী কোন চিকিৎসাও। এমনকি হাসপাতালে ভর্তিও করতে পারেন।

সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা পেলে অনেক জটিল রোগ থেকে আমরা বেঁচে যেতে পারি। তাই কাশি কিছুতেই কমছে না দেখলে দেরি না করে খুব দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

উপসংহার - শেষ কথা

দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ১৪ টি ঘরোয়া প্রতিকার সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি কেমন লাগলো? আশা করি ভালো লেগেছে আর নতুন কিছু জানতে পেরেছেন। দেশবিদেশের নানা বিশেষজ্ঞের গবেষণার আলোকে সাজানো এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হলে নিজের প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

এতে তারাও জানতে পারবেন দ্রুত কাশি কমানোর উপায় ঘরোয়া প্রতিকার এবং সুস্থ থাকতে পারবেন। এতোক্ষণ সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার ও আপনার পরিবারের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। (1214)

Thanks.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url