৭ দিনে চুল লম্বা শুরু করার উপায় ১৩ টি সহজ পদ্ধতি

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় জানা থাকলে আমরা অতি দ্রুত পেতে পারি সুস্থ, সুন্দর, নজরকাড়া চুল। কে না চায় মাথাভর্তি ঘন, দীঘল চুল? আর এই সাধের চুলের যত্নে আমরা অনেকেই খরচ করি হাজার হাজার টাকা। অথচ কিছু সঠিক গাইডলাইন মেনে চললেই আমরা এই খরচ আর সময় যেমন অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারি, তেমনই পেতে পারি সেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল।

image

আজকের আর্টিকেলটি তাই সাজানো হয়েছে ৭ দিনে চুল লম্বা শুরু করার উপায় গুলো নিয়ে। একই সাথে আমরা আলোচনা করবো চুল ঘন, হেলদি ও শাইনি করার উপায়, চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক, চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান, এবং আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

সূচিপত্র: ৭ দিনে চুল লম্বা শুরু করার উপায় ১৩ টি সহজ পদ্ধতি

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় ১৩ টি সহজ পদ্ধতি

কিছু নিয়ম মেনে চললেই এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের চুলের বৃদ্ধি শুরু হবে এবং চুল দ্রুত দীর্ঘ হবে।

৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় গুলো হলো:

  1. চুল নিয়মিত পরিষ্কার করুন। যেন ময়লা না জমতে পারে।
  2. পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
  3. দৈনিক পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন। ঘুম কম হলে চুল পড়ে যেতে পারে।
  4. বেশি বেশি পানি পান করুন। শরীর যেন ডিহাইড্রেটেড বা পানিশূণ্য না হয়। শরীরে পরিমিত পানির অভাবে চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  5. নিয়মিত চুল কাটার অভ্যাস করুন। এক্ষেত্রে ভাঙ্গা, ফাটা চুলগুলো ছেঁটে ফেলুন। এতে করে চুল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে ও সহজে বৃদ্ধি পাবে।
  6. চুলে বেশি কেমিক্যালযুক্ত পদার্থ ব্যবহার করবেন না। আমরা অনেকেই ভাবি দামী দামী প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই চুল লম্বা হবে। কিন্তু অনেক সময় এইসব পণ্যে থাকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল যা আমাদের চুলকে উল্টো ক্ষয় করে।
  7. নিয়মিত শ্যাম্পু করুন। সপ্তাহে তিনদিন মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলা এক্ষেত্রে সর্বোত্তম।
  8. প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। এতে চুল নরম, মসৃণ, ও স্বাস্থ্যবান হবে এবং সহজে ভেঙ্গে, ঝরে, বা ফেটে যাবে না।
  9. প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান যেমন মেথি, অ্যালোভেরা, পেঁয়াজ, রসুন, ডিম ইত্যাদি চুলের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন।
  10. চুলের যত্নে হেয়ারপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। হেয়ারপ্যাক তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আমরা একটু পরেই আলোচনা করবো।
  11. মাথায় যেন উকুন, খুশকি ইত্যাদি না হয় সেদিকে লক্ষ রাখুন।
  12. চুলের জন্য ক্ষতিকর পদার্থগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। এগুলো নিয়ে আমরা একটু পরেই আলোচনা করবো।
  13. প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে যত্নের সাথে মাথা ম্যাসাজ করুন। এতে চুল জটবিহীন থাকবে ও সহজে উঠে আসবে না। এছাড়া স্ক্যাল্পে ম্যাসাজের ফলে চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়বে। ফলে চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।

এই পদ্ধতিগুলোই মূলত ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায়। এগুলো সুন্দরভাবে মেনে চললে আপনি অতি দ্রুত ফলাফল পাবেন। তাই দেরি না করে আজই শুরু করে দিন।

চুল ঘন করার উপায়

আমরা ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কে জানলাম এবার জেনে নিই চুল ঘন করার উপায়। বেশ কিছু পদ্ধতিতে আমরা ঘন চুল পেতে পারি। যেমন:

১। চুলের পুষ্টির জন্য প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি ইত্যাদি। তাই খাদ্যতালিকায় এই উপাদানগুলো যেন থাকে তা নিশ্চিত করুন।

২। নিয়মিত যোগাসন, মেডিটেশন ইত্যাদি করতে পারেন। এতে শরীর ও মন ভালো থাকবে, চাপ কমবে। ফলে চুল পাতলা হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে ও ঘন হবে।

৩। চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক ব্যবহার করুন। বিভিন্ন হেয়ার প্যাক ব্যবহারের ফলে চুল হয়ে উঠবে সুস্থ, সুন্দর, নজরকাড়া। আমরা একটু পরেই কয়েকটি হেয়ার প্যাক তৈরির পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করবো।

তাহলে চুল ঘন করার উপায় গুলো জানলাম। এবার চলুন দেখি চুল হেলদি করার উপায় কী কী।

চুল হেলদি করার উপায়

মূলত নিজে হেলদি জীবনযাপন করাই হলো চুল হেলদি করার উপায়। এজন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত সুষম খাদ্য গ্রহণ, বেশি বেশি পানি পান, ব্যায়াম করা, যোগাসন করা, মেডিটেশন, পরিমিত ঘুম ইত্যাদি কাজগুলো করা যেতে পারে।

এছাড়া চুলকে হিট থেকে বাঁচানো, অতিরিক্ত রোদ না লাগে সেদিকে লক্ষ রাখা, অতিরিক্ত কেমিক্যালযুক্ত পণ্য পরিহার করা, চুলের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার, বিভিন্ন হেয়ার প্যাক ব্যবহার ইত্যাদি উপায়ে চুলকে হেলদি করে তুলতে পারেন। আমরা কিছুক্ষণের মধ্যেই এগুলো নিয়ে আরও বিস্তারিত আলোকপাত করবো।

চুল শাইনি করার উপায়

চুল শাইনি করার উপায় গুলো নিম্নরূপ:

  • চুল ধুতে হালকা গরম পানি ব্যবহার করা। এতে মাথা রিল্যাক্স হবে, চুলের গোড়ায় রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হবে, চুলে উজ্জ্বলতা আসবে। তবে খুব গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না।
  • প্রোটিনের ব্যবহারে চুলে উজ্জ্বলতা আসে ও পুষ্টির জোগান পায়। তাই ব্যবহার করতে পারেন প্রোটিনযুক্ত কন্ডিশনার।
  • প্রোটিনের প্রাকৃতিক উৎস হিসেবে ডিমও ব্যবহার করতে পারেন। চুলে ডিম প্রয়োগের ফলে চুল হয়ে উঠবে শাইনি ও সিল্কি।
  • খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাদ্য রাখুন। এগুলো চুলকে সুন্দর করে তুলবে।

এভাবে আমরা চুলকে শাইনি ও সিল্কি করে তুলতে পারি।

চুল পড়ার কারণ?

বেশ কিছু কারণে আমাদের চুল পড়ে যেতে পারে। এগুলো জানা থাকলে আমরা চুল পড়া প্রতিরোধ করে সুন্দর, লম্বা চুলের অধিকারী হতে পারি। চলুন তাহলে জেনে নিই চুল পড়ার কারণ:

  • অত্যধিক শারীরিক চাপের ফলে চুল পড়তে পারে।
  • মাত্রাতিরিক্ত মানসিক চাপের ফলে চুল পড়ে যেতে পারে।
  • চুলের পর্যাপ্ত যত্নের অভাবে চুল পড়তে পারে।
  • অতিরিক্ত কেমিক্যালের প্রভাবে চুল দুর্বল হয়ে ঝরে যেতে পারে।
  • খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর উপাদানের অভাবে চুল পড়তে পারে।
  • অপর্যাপ্ত ঘুম চুল পড়ার কারণ হতে পারে।
  • হরমোনাল কারণেও অনেকের চুল পড়তে পারে।
  • বয়সের সাথে সাথে চুল দুর্বল হয়ে ঝরে যেতে পারে।
  • জিনগত কারণে চুল পড়তে পারে।
  • মাথায় নোংরা, উকুন, খুশকি ইত্যাদির কারণে চুল পড়ে যেতে পারে।

এগুলোই মূলত চুল পড়ার কারণ। আমরা এ ব্যাপারগুলোতে একটু সতর্ক হয়ে চুলের যত্ন নিলেই চুল পড়া প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবো আশা করা যায়।

চুলের যত্নে কি ব্যবহার করা যায়?

চুলের যত্নে কি ব্যবহার করা যায় তা ৭ দিনে চুল লম্বা করার উপায় সম্পর্কিত আলোচনায় আমরা অনেকটাই জেনে ফেলেছি। যেমন:

  1. অ্যালোভেরা
  2. ডিম
  3. পেঁয়াজ
  4. লেবু
  5. নারিকেল তেল
  6. মাইল্ড শ্যাম্পু
  7. কন্ডিশনার
  8. আমলকী
  9. মসৃণ কাপড়
  10. অন্যান্য

১। অ্যালোভেরা: চুলের যত্নে অ্যালোভেরার গুণাগুণ আমরা কমবেশি সবাই জানি। অ্যালোভেরা চুলকে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলতে অতি সহায়ক।

২। ডিম: ডিম আমাদের চুলে প্রোটিন জোগায়। চুলকে করে তোলে সিল্কি ও শাইনি।

৩। পেঁয়াজ: পেঁয়াজের রস চুলের গোড়ায় পুষ্টি জুগিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

৪। লেবু: লেবুর রসের সাহায্যে বিভিন্ন হেয়ার প্যাক ব্যবহার করে আমরা চুলের যত্ন নিতে পারি। এতে থাকা ভিটামিন সি আমাদের চুলের জন্য অতি উপকারী।

৫। নারিকেল তেল: নারিকেল তেল চুলের জন্য একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। এটি চুলকে পুষ্টিকর, মসৃণ, ও জটবিহীন করে তুলতে সাহায্য করে। চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।

৬। মাইল্ড শ্যাম্পু: মাইল্ড শ্যাম্পু চুলের ক্ষতি কম করে। চুলকে পরিষ্কার রাখে।

৭। কন্ডিশনার: শ্যাম্পু করার পর ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এতে চুল হবে মসৃণ, ঘন, ও মোলায়েম।

৮। আমলকী: আমলকী একটি ভিটামিনসমৃদ্ধ ফল। এটি আমাদের চুলের জন্যও অতি উপকারী। আমলকীর হেয়ার প্যাক হতে পারে আমাদের চুলের যত্নের আদর্শ টোটকা।

৯। মসৃণ কাপড়: মসৃণ কাপড় দিয়ে মাথা ঢেকে বাইরে যাওয়া, মসৃণ কাপড়ের তৈরি বালিশের কভার ব্যবহার করার মাধ্যমে আমরা চুলকে রোদ ও ঘর্ষণজনিত ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারি।

১০। অন্যান্য: এছাড়া জবা ফুল, টি ট্রি অয়েল, মেথি, কালোজিরা ইত্যাদিও আমাদের চুলের নানা উপকার করে।

উপরোক্ত উপাদানগুলোর সঠিক ব্যবহারেই আমরা পেতে পারি সুস্থ, সুন্দর চুল।

চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক

চুলের যত্নে আমরা ব্যবহার করতে পারি নানা হেয়ার প্যাক। এগুলো আমাদের চুলকে ভেতর থেকে পুষ্টি জোগাবে, দ্রুততম সময়ে সুফল দেবে। চুলের যত্নে হেয়ার প্যাক যেভাবে বানাবেন:

১। একটি স্টিলের বাটিতে কিছুটা নারিকেল তেল নিন। অন্য একটি বড় বাটিতে নিন গরম পানি। এবার তেলের বাটিটি গরম পানির বাটির মধ্যে বসিয়ে তেলটি গরম করে নিন। এরপর তেলের বাটিটি নামিয়ে এতে লেবুর রস যোগ করুন। এই মিশ্রণটি মাথায় মালিশ করে ২০ মিনিট ভেজা তোয়ালে দিয়ে মাথা জড়িয়ে রাখুন। পরবর্তীতে এটি ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল হবে মসৃণ, মোলায়েম, এবং জটবিহীন।

২। এক টেবিল চামচ ত্রিফলার গুঁড়ার সাথে এক টেবিল চামচ মেথি, আধা কাপ টক দই, ও আধা কাপ অ্যালোভেরার নির্যাস, ও একটি ডিম মিশিয়ে মিশ্রণ বানান। এবার এটি চুলে প্রয়োগ করে আধা ঘন্টা রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন ও কন্ডিশনার দিন। এতে চুল পুষ্টি পাবে।

৩। পেঁয়াজ, আদা, ও আমলকি থেঁতো করে নিন। তবে ব্লেন্ড করবেন না। এবার গুঁড়ো করুন কালোজিরা ও মেথি। এরপর নারিকেল তেলের মধ্যে এই সবগুলো উপাদান ঢেলে দিন। সাথে দিন কিছু কারিপাতা। মিশ্রণটি ভালোভাবে ফোটান। এক্ষেত্রে অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র ব্যবহার করা সর্বোত্তম। প্রতিদিন এই তেল রোদে রাখুন। চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ঘষে লাগান সপ্তাহে তিনদিন। এতে নতুন চুল গজানো শুরু হবে।

৪। নারিকেল তেল হালকা তাপে গরম করে নিন। এতে দিন জবা ফুল ও নিম পাতা। এবার আবারও কিছুক্ষণ (৭-১০ মিনিট) হালকা আঁচে গরম করে পাত্রটি নামিয়ে ফেলুন। এবার তেলটি ছেঁকে নিয়ে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এই হেয়ার প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে চুলের আগা ফাটা রোধ হবে। চুল হয়ে উঠবে সুন্দর, এবং বৃদ্ধি পাবে দ্রুত।

এটি প্রয়োগের পদ্ধতি হলো যেখান থেকে চুলের আগা ফেটেছে সেই বরাবর কেটে নেওয়া। এরপর সম্পূর্ণ চুলে ব্রাশ ও মোটা দাঁতের চিরুনীর সাহায্যে প্যাকটি লাগানো। অতঃপর ৩০-৪০ মিনিট মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে ঢেকে রাখা। অতঃপর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলা এবং কন্ডিশনার প্রয়োগ।

উপরের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে হেয়ার প্যাক বানিয়ে চুলে প্রয়োগ করলে চুল হয়ে উঠবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, এবং নতুন চুলও গজাবে। এছাড়া আরও কিছু অসাধারণ হেয়ার প্যাক বানানোর পদ্ধতি জানতে পড়তে পারেন এই আর্টিকেলটি।

চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান

চুলের জন্য ক্ষতিকর উপাদান গুলো থেকে বিরত না থাকলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। তাই নিম্নোক্ত বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকুন:

১। পরিশোধিত চিনি, অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার ইত্যাদি আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

২। শ্যাম্পুতে থাকা ফরমালডিহাইড, সালফেট, পলিথিলিন গ্লাইকল, ট্রাইক্লোজেন ইত্যাদি রাসায়নিক পদার্থ আমাদের চুলের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

৩। ভেজা চুলে তেল দিয়ে ঘুমালে চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

৪। চুলে অতিরিক্ত ঘর্ষণ লাগে এরকম বালিশের কভার ব্যবহারে চুল উঠে আসতে পারে।

৫। সূর্যালোকে থাকা ক্ষতিকর ইউভি রশ্মি আমাদের চুলকে ড্যামেজ করতে পারে। তাই রোদের মধ্যে বাইরে গেলে অবশ্যই মাথা ঢেকে যেতে হবে।

এই ক্ষতিকর উপাদানগুলো থেকে বিরত থাকলে এবং ঠিকমতো চুলের পরিচর্যা করলেই আমরা পেতে পারি সর্বোচ্চ ফলাফল।

উপসংহার - শেষ কথা

লেখাটি এই পর্যন্ত পড়ে থাকলে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি যত্ন সহকারে টিপসগুলো ফলো করলে অতি অল্প সময়েই আপনি নিজের মধ্যে সুফল দেখতে পাবেন।

৭ দিনে চুল লম্বা শুরু করার উপায় সম্পর্কিত এই আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা জানাতে ভুলবেন না। লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুবান্ধব ও প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। এতে তারাও চুলের সঠিক যত্ন নেওয়ার পদ্ধতিগুলো জানতে পারবেন। সকলের সুস্থতা কামনা করে আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। (1214)

Thanks.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url