ছেলে সন্তান হওয়ার ১২ টি বিশ্বাসযোগ্য লক্ষণ সমূহ

বাড়ির বউ গর্ভবতী হলেই ভাই, বোন, শশুর, শাশুড়ি, আত্মীয়, স্বজন, সকলের জানতে কৌতূহল সৃষ্টি হয় ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ নাকি মেয়ে সন্তান হবে? আশা করছি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন মেয়ে সন্তান এবং ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ ১২ টি বিশ্বাসযোগ্য লক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় কিছু মেসেজ।

image

সূচিপত্র: ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ ১২ টি বিশ্বাসযোগ্য লক্ষণ

(নিচের যে অংশ থেকে পড়তেছে ক্লিক করুন)

শিশুদের নাম All Article (Click here)

সন্তান হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা

প্রথমেই বলতে চাই ছেলে সন্তান অথবা মেয়ে সন্তান ১০০% নিশ্চিত কেউ বলতে পারবে না, একমাত্র আল্লাহ জানেন। তবে বিজ্ঞান এবং আমাদের দাদী নানীর কাছ থেকে জানা কিছু তথ্যের মাধ্যমে জানানোর চেষ্টা করব ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ এবং মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ।

গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সন্তানের সুস্থতা গর্ভবতী মহিলার অভিভাবককে সচেতন থাকতে হবে খাবার, চিকিৎসা, যত্ন, ইত্যাদি বিষয়ে কড়া নজর দাড়ি রাখতে হবে।

ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ

বেশ কিছু লক্ষণ খেয়াল করলে সন্তান জন্মগ্রহণের পূর্বেই আশা করা যায় বুঝতে পারবেন সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে। বিজ্ঞান বলছে শুক্রাণুর এবং ডিম্বাণু মিলনে মা-বাবা থেকে সন্তান ২৩ টি ক্রোমোজোম পাই তখন বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নির্ধারণ শুরু হয় যেমন: লিঙ্গ, হাত, চোখ, নাক, কান, ইত্যাদি।

নিচে মেয়ে সন্তান এবং ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ দেওয়া হল। অবশ্যই অবশ্যই মাথায় রাখবেন এগুলোর মাধ্যমে অনুমান করা যায়, তবে ১০০% সঠিক ছেলে অথবা মেয়ে হবে তা কিন্তু না। তবে অনুমানের সত্যতা অনেকটা বেশি

মেয়ে সন্তান এবং ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ ১২ টি বিশ্বাসযোগ্য লক্ষণ,

  1. অলসতা
  2. মাথার চুল
  3. ডান সাইড এবং বাম সাইড
  4. টক এবং মিষ্টি খাবার
  5. প্রসবের রং ও পরীক্ষার
  6. পেটের আকার
  7. মুখে ব্রণ
  8. ডিম্বস্ফোটন
  9. বমি
  10. পুষ্টিগুণ
  11. শিশুর হৃদস্পন্দন
  12. মানসিক প্রফুল্লতা

অলসতা, পুত্র সন্তান এবং কন্যা সন্তান গর্ভবতী মহিলার অলসতার মাধ্যমে কিছুটা অনুভব করা যায়। যদি কম অলসতা উপলব্ধি মনে হয় তাহলে ছেলে সন্তানের সম্ভাবনা বেশি এবং যদি গর্ভবতী মহিলা বেশি অলসতা উপলব্ধি করে তাহলে মেয়ে সন্তানের সম্ভাবনা বেশি।

মাথার চুল, গর্ভবতী মহিলার মাথার চুলের কয়েকটি পয়েন্ট খেয়াল করলে বোঝা যায় ছেলে সন্তান নাকি মেয়ে সন্তান হতে চলেছে।

  1. চুলের উজ্জ্বলতা কমে যায়
  2. চুল পড়ার মাত্রা পূর্বের তুলনায় বেড়ে যাওয়া
  3. মাথায় চুলের দিকে লক্ষ্য করলে চুলের ঘনত্ব কম লাগে

এগুলো থেকে অনুমান করা যায় আপনি কন্যা সন্তানের মা হতে চলেছেন এবং এর বিপরীত হলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।

ডান সাইড এবং বাম সাইড, গর্ভবতী মহিলা ঘুম পাড়ছে কিন্তু সে নিজের অজান্তেই বেশিরভাগ সময় ডানদিকে কাত হয়ে ঘুমায় তাহলে অনুমান করা যায় কন্যা সন্তানের মা হতে চলেছে এবং যদি নিজের অজান্তেই বেশিরভাগ সময় বামদিক হয়ে ঘুমায় তাহলে বুঝবেন এটা ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।

টক এবং মিষ্টি খাবার, আমাদের এক এক জনের একেক রকম খাবার পছন্দ কিন্তু বিভিন্ন সময় হঠাৎ করে আমাদের খাওয়ার রুচি পরিবর্তন হয়ে যায়। গর্ভবতী মহিলার এই পরিবর্তন ছেলে অথবা মেয়ের নিশানা বলে ধরা হয়।

যদি মিষ্টি খাবার যেমন: চকলেট, আইসক্রিম, পায়েস, বিভিন্ন মিষ্টি ইত্যাদি খাবার আগ্রহ বৃদ্ধি পায় তাহলে মেয়ে সন্তানের সম্ভাবনা বেশি এবং যদি টক জাতীয় বিভিন্ন খাবারের চাহিদা বৃদ্ধি পায় যেমন: বড়ই, তেতুল, কামরাঙ্গা, ইত্যাদি তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।

পেটের আকার, সামনের দিক এবং মাঝের দিকে লক্ষ্য করুন যদি তলপেট বা সামনের দিকে বেশি বাড়ে তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ এবং যদি মাঝের দিক বেশি ভারী হয় তাহলে কন্যা সন্তান হওয়ার লক্ষণ।

মুখে ব্রণ, বিভিন্ন সময় হরমোনের কারণে গর্ভবতী মহিলায় মুখে ব্রণ সহ ত্বকে বিভিন্ন সমস্যার দেখা দেয়। যদি মুখে ব্রণ সহ ত্বকের সমস্যার কিংবা উজ্জ্বলতা কমে যায় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ এবং যদি এর বিপরীত দেখেন তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ যেমন: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি, মুখে ব্রণ হয় না, চেহারা সুন্দর্য বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।

বমি, প্রায় গর্ভবতী মহিলা গর্ভধারণের পর বমি করে কিন্তু লক্ষ্য করবেন কিছু মহিলা দীর্ঘ সময় বমি করে এবং কিছু মহিলা কম সময় বমি করে কয়েক মাস পর ঠিক হয়ে যায়। এমনও হয় সন্তান প্রসাবের কয়েক দিন আগ পর্যন্ত বমি করে। আপনার যদি বমি বেশি হয় তাহলে মেয়ের সন্তান হওয়ার লক্ষণ এবং বমি কম হলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।

মানসিক প্রফুল্লতা, স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ভালোবাসা বেশি থাকলে ছেলে সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে এবং এই মতামত টা খুব একটা কার্যকর না।

বিজ্ঞান সম্মত ছেলে সন্তান হওয়ার কিছু লক্ষণ

পুষ্টিগুণ, পুরুষের খাদ্য তালিকায় পটাশিয়াম ও সোডিয়াম যুক্ত খাবার খেলে ছেলে সন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে এবং মেয়ের খাদ্যে তালিকায় ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যুক্ত খাবার খেলে মেয়ে সন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।

ডিম্বস্ফোটন, ডিম্বস্ফোটনের সময় মিলন করলে ছেলে সন্তান হওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। কারণ, Y ক্রোমোজোম বহনকারী শুক্রাণু দ্রুত গতিতে ডিম্বে পৌঁছাতে পারে। আপনারা যারা সাইন্স নিয়ে পড়েছেন তারা জানেন (সংক্ষেপে বলছি) XX মেয়ে এবং XY ছেলে।

এক্ষেত্রে ছেলে এবং মেয়ে নির্ভর করে সম্পন্ন পুরুষের উপর কেননা পুরুষ যদি XY প্রদান করে তাহলে ছেলে সন্তান হয় এবং পুরুষ যদি XX প্রদান করে তাহলে মেয়ে সন্তান হয়। কিন্তু মেয়ে XX প্রদান করে কখনোই XY প্রদান করে না। আশা করি সংক্ষিপ্ত কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।

প্রসবের রং ও পরীক্ষার, প্রসব করার সময় খেয়াল করুন আপনার প্রসবের রং কেমন, যদি হালকা ঘোলাটে একেবারে সাদা না হয় তাহলে অনুমান করা যায় আপনার মেয়ে সন্তান হতে চলেছে। তবে এটা অনুমান করার বেশ জটিল।

তবে আরেকটি সহজ পদ্ধতি আছে একটি গ্লাসে পানি নিন এবং বেকিং সোডা নিন। এরপর আপনার অল্প একটু প্রসব টয়লেটে গিয়ে ধরে নিয়ে আসুন এবার পানি এবং বেকিং সোডার সাথে মিশিয়ে দিন।

এবার পরীক্ষার পালা খেয়াল করুন যদি কোনরকম বিক্রিয়া দেখতে না পান তাহলে আপনি কন্যা সন্তানের মা হতে চলেছেন এবং যদি হালকা হালকা বুদবুদ শব্দ হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ মধ্যে একটি।

শিশুর হৃদস্পন্দন, যদি শিশুর হৃদস্পন্দন ১৪০ হার্ট রেট হয় তাহলে ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ এবং যদি শিশুর হৃদস্পন্দন ১৪০ এর বেশি হয় তাহলে মেয়ে সন্তান হওয়ার লক্ষণ।

প্রায় ১২ টা পয়েন্ট তুলে ধরা হয়েছে আপনি যদি দেখেন বেশিরভাগ পয়েন্ট গুলো ছেলে হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করছে তাহলে আশা করা যায় ছেলে হবে এবং মেয়ের দিকে ইঙ্গিত করলে মেয়ে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

ছেলে সন্তান হওয়ার কিছু আমল

আল্লাহর ফয়সালা চূড়ান্ত ফয়সালা আমাদেরকে তা মেনে নিতে হবে। এবং জীবনের সকল চাওয়া পাওয়া একজনের কাছে তিনি হচ্ছেন আমার মালিক আপনার মালিক আল্লাহ। আপনি ছেলে সন্তান হওয়ার কিছু আমল করতে পারেন আল্লাহ যদি চাই আপনার মনের আশা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ।

আরো পড়ুন: কোরআন থেকে মুসলিম ছেলেদের আধুনিক জনপ্রিয় ২০০টি নাম

  1. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া
  2. বুঝে বুঝে কোরআন পাঠ করা
  3. দোয়া এবং তাসবিহ পাঠ করে
  4. গোপনে দান করা
  5. এবং নফল রোজা রাখা

আশা করি আপনারা উপরের পাঁচটি বিষয় পড়ে বুঝে গেছেন আপনার কি করা উচিত কিভাবে কি করবেন। যদি কোন বিষয় বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে নিকটস্থ মসজিদের ইমামের কাছে বুঝে নিবেন।

ছেলে সন্তান হওয়ার উপায় বা করণীয়

ছেলে সন্তান হওয়ার উপায় বা করণীয় পয়েন্ট গুলো আলোচনা করা হয়েছে জাস্ট আপনাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছি ১. ডিম্বস্ফোটন, ২. পুষ্টিগুণ, ৩. মানসিক প্রফুল্লতা, এই তিনটি পয়েন্ট এর উপর আপনারা নজর দিতে পারেন কিন্তু মনে রাখবেন ১০০% নিশ্চিত না আপনার ছেলে সন্তান হবে। ( আল্লাহ যদি চায়)

উপসংহার - শেষ কথা

সর্বশেষ একটি মেসেজ দিতে চাই বেশি বেশি ২৫ নং সূরা Al-Furqan এর ৭৪ নং আয়াত পাঠ করবেন। না জানলে জেনে নিবেন এবং অর্থ বুঝে তেলাওয়াত করার চেষ্টা করবেন। জীবন চলার পথে সকল অবস্থায় আল্লাহর উপর আস্থা রাখুন কখনো ঠকবেন না। আমরা যেটা জানিনা সেটা আল্লাহ ভালো জানে। আশা করি ছেলে সন্তান হওয়ার লক্ষণ সমূহ এবং আমল ও করণীয় জেনে আনন্দিত হয়েছেন।

ধন্যবাদ-Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url