আমলকির তেল তৈরির নিয়ম ৫ সঠিক ঘরোয়া পদ্ধতি

"আমলকির তেল তৈরির নিয়ম" আমলকি হচ্ছে একটি ঔষধি গুনাগুণ সম্পন্ন ভেষজ ফল। ভিটামিন সি সমৃদ্ধকারী এই ফলটি আপনার শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে যেমন অতুলনীয় ভূমিকা রাখতে পারে তেমনি আপনার চুলের যত্নেও আমলকি হতে পারে এক অনন্য ও জাদুকরি উপাদান।

image

আপনার চুলপড়া রোধ এবং চুলের নানাবিধ সমস্যা দূর করা সহ চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে আপনি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন আমলকির তৈরি তেল। আমলকির তেল আপনি চাইলে বাজার থেকে সংগ্রহ না করে নিজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে আমলকির তেলটি তৈরি করে নিতে পারেন।

সূচিপত্র: আমলকির তেল তৈরির নিয়ম - ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি

আমলকির তেল তৈরির নিয়ম ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি

চুল পড়া রোধ করতে, চুলকে খুশকি মুক্ত করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে ইত্যাদি। এমন চুলের আরো নানা রকম সমস্যা দূর করতে আপনি ব্যবহার করতে পারেন আমলকির তৈরি তেল। কিন্তু ভাবছেন, আমলকির তেল কোথায় বা কিভাবে পাওয়া যাবে?

আপনি চাইলে আমলকির তেল বাজার থেকে কিনে নিতে পারেন কিন্তু ভালো ফলাফল পেতে হলে বাজার থেকে না কিনে নিজেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে তৈরি করে নিতে পারেন আমলকির তেল। আমলকির তেল তৈরির নিয়ম ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি নিচের পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে জেনে নিন।

আরো পড়ুন: আমলকির হেয়ার প্যাক ১১ টি জাদুকরী টিপস

প্রথম পদ্ধতি, প্রথমে আপনাকে ৬ থেকে ৭টি আমলকি নিতে হবে। এবার আমলকি গুলো কেটে ভেতরে থাকা বিচিগুলো ছাড়িয়ে নিন। পর্যায়ক্রমে এক কাপ নারকেল তেল, দুই টেবিল চামচ মেথি দানা, কয়েকটি জবাফুল এবং সবশেষে এক মুঠো পরিমাণ নিম পাতা নিয়ে, এখন আমলকি সহ সবগুলো উপকরণ একত্রিত করে চুলার অল্প আঁচে বসিয়ে দিন।

চুলায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। ভালোভাবে ফুটানো হয়ে গেলে চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত ঢেকে রাখুন। ঠান্ডা হওয়ার পর তেলটি একটি পরিষ্কার সুতি ও পাতলা কাপড় দ্বারা ছেঁকে নিন এবং একটি কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। আপনার তৈরি কৃত এই আমলকির তেলটি আপনি ব্যবহারের জন্য ৩ থেকে ৪ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

দ্বিতীয় পদ্ধতি, এক কাপ পরিমাণ আমলকির রস এবং সমপরিমাণ (এক কাপ) নারকেল তেল। উপকরণ দুটি একটি পরিষ্কার পাত্রে ঢেলে সংমিশ্রণ করে নিন। এরপর মিশ্রণটি চুলার মৃদু আঁচে বসিয়ে রাখুন। আস্তে আস্তে মিশ্রনটির রং বদলাতে শুরু করলে ভালোভাবে ফুটিয়ে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। তেলটি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এবার আমলকির তৈরি তেল একটি কাঁচের পাত্রে ঢেলে রাখুন। আমলকির এই তেলটি আপনি দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করে রেখেও ব্যবহার করতে পারেন।

তৃতীয় পদ্ধতি, শুরুতে ২৫০ গ্রাম থেকে ৩০০ গ্রামের মত বিচি ছাড়ানো আমলকি নিতে হবে। সংগৃহীত আমলকি গুলো এবার আপনি একটি ব্লেন্ডারের সাহায্যে সামান্য পানি দিয়ে আমলকির পেস্ট তৈরি করে নিন। মনে রাখবেন আপনার পানির পরিমাণ হতে হবে খুবই সামান্য, যেমন এক টেবিল চামচ পরিমাণ হতে পারে।

এবার আপনাকে নিতে হবে নারকেল তেল। আপনি যতটুকু পরিমাণের আমলকির পেস্ট তৈরি করেছেন ঠিক ততটুকু একদম সমপরিমাণ নারকেল তেল একটি পরিষ্কার পাত্রে নিয়ে নিন। নারকেল তেলের পাত্রটি চুলায় বসিয়ে দিয়ে আঁচ একদম কম করে দিন। নারকেল তেল গরম হয়ে এলে আমলকির তৈরি পেস্টটি তেলের মধ্যে ছেড়ে দিন।

তারপর মিশ্রনটি অনবরত নাড়তে থাকুন । নাড়া সামান্য সময়ের জন্যেও বন্ধ করা যাবে না। কারণ তাতে করে আমলকির পেস্ট পুড়ে যেতে পারে। তো এভাবে আপনাকে বিরতিহীন ভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত নাড়া চালিয়ে যেতে হবে। যখন নাড়তে নাড়তে তেলের রং পরিবর্তন হয়ে যাবে তখন চুলার আঁচ নিভিয়ে দিয়ে ঘন্টাখানে এভাবে ঢেকে রাখুন এবং ঠান্ডা হতে দিন।

তারপর একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড় দিয়ে মিশ্রণটি ছেঁকে নিন আর একটি স্বচ্ছ কাচের পাত্রে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখুন এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করুন। এভাবে আপনার চুলের জন্য আজই তৈরি করে ফেলুন আমলকির তেল।

চতুর্থ পদ্ধতি, এই পদ্ধতিটিতে, প্রথমে আপনি থেঁতো করা আমলকি নিয়ে নিন আধা কাপ পরিমাণ। তারপর নিবেন আধা কাপ পরিমানে সরিষার তেল অথবা তিলের তেল, এক কাপ পরিমাণে এক্সট্রা ভার্জিন নারকেল তেল এবং সাথে এক চা চামচ মেথি দানা।

এখন আপনি এই সবগুলো উপকরণ একটি ভারী কোনো পাত্রে নিয়ে চুলার আঁচে বসিয়ে দিন। তেলের মিশ্রণটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত ভালোভাবে ফুটানোর পর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন। তেলের মিশ্রণটি ঠান্ডা করে একটি পাত্রে ঢেলে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করুন আপনার তৈরি করা আমলকি তেল।

পঞ্চম পদ্ধতি, সবশেষ নিয়মটিতে আপনাকে যা করতে হবে তা হল, প্রথমত এক কাপ (১৫/১৬টি) আমলকি নিন এবং কেটে বিচিগুলো থেকে আলাদা করে ফেলুন। এবার ১/৪ কাপ পরিমাণ নারকেল তেলের সাথে ঠিক একই পরিমাণের কারি পাতা এবং কেটে রাখা আমলকি দিয়ে এই সবগুলো উপকরণ একত্রে মিলিয়ে ব্লেন্ডারের সাহায্যে ব্লেন্ড করে মিশ্রণ তৈরি করে নিন।

ব্লেন্ড করা মিশ্রণটি একটি ভারি পাত্রে ঢেলে নিয়ে চুলায় চাপিয়ে দিন। এ পর্যায়ে আরো ২ থেকে ৩ কাপ নারকেল তেল আমলকির মিশ্রণটিতে দিয়ে দিতে হবে। তারপর ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর্যন্ত মিশ্রণটি বিরতিহীন ভাবে নাড়তে হবে অবশ্যই চুলার অল্প আঁচে রেখে। ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট পর যখন মিশ্রণটির রং পরিবর্তন হয়ে যাবে তখন চুলা থেকে নামিয়ে ৮ ঘন্টা পর্যন্ত ঢেকে রাখুন।

৮ ঘন্টা পর তেলের মিশ্রণটি একটি সুতি ও পাতলা কাপড় দিয়ে খুব ভালোভাবে ছেঁকে একটি কাঁচের বোতলে সংরক্ষণ করে রাখুন। খুব ভালো ফলাফল পেতে তেলের মধ্যে মিশিয়ে নিতে পারেন ৫/৬টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল। তৈরি করা এই তেলটি আপনি আপনার চুলে এক বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ছিল আমলকির তেল তৈরির নিয়ম ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি। এই পদ্ধতিগুলোর আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো একটি প্রয়োগ করে আপনি নিজেই ঘরোয়া ভাবে বানিয়ে ফেলতে পারেন আমলকির তেল। আমলকির তেল অবশ্যই আলো থেকে দূরে এবং তুলনামূলক একটু কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হবে।

আমলকির তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম

আমলকির তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে এমন বিশেষ কোনো নিয়ম নেই। সাধারণত যেভাবে আপনারা রেগুলার নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করে থাকেন ঠিক একই রকম ভাবে আমলকির তেলও ব্যবহার করতে পারেন।

আমলকির তেল রাতে ঘুমানোর আগে আপনার চুলের গোড়ায় (মাথার স্ক্যাল্প) এবং সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিবেন। লাগানোর পর চুলের গোড়ায় ২/৩ মিনিট আলতো করে একটু মেসেজ করে নিতে পারেন। এভাবে সারারাত রেখে পরদিন সকালে গোসলের সময় শ্যাম্পু করে নিন।

এছাড়াও আপনি আমলকির তেলটি রাতে দিতে না পারলে অথবা না চাইলে গোসলের ১/২ ঘন্টা আগে দিয়েও গোসলের সময় শ্যাম্পু করে ফেলতে পারেন। এভাবে সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন আমলকির তেল নিয়মিত ব্যবহার করুন।

এভাবে তিন চার সপ্তাহ নিয়মিত ব্যবহার করে দেখুন চুলে এর কার্যকারিতা আপনি নিজেই অনুভব করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ।

আমলকির গুনাগুন ও উপকারিতা

বলা হয়ে থাকে আমলকি এমন একটি ফল যার মধ্যে রয়েছে হাজার রকমের গুনাগুন ও উপকারিতা। আমলকির কিছু গুনাগুণের বিষয় আপনাদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো। আমলকির গুনাগুণ গুলোকে দুটি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে যেমন- পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণ।

  1. পুষ্টিগুণ
  2. ঔষধি গুণ

১. পুষ্টিগুণ: আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যা অন্যান্য ফলের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। পুষ্টিবিদদের মতে, আমলকিতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে তা একটি কাগজি লেবুর চেয়ে ১০ গুণ, একটি কমলার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ, একটি পেয়ারার চেয়ে ৩ গুণ, একটি আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ, একটি কলার চেয়ে ৬০ গুণ এবং একটি আম থেকে ২৪ গুণ বেশি।

প্রতিদিন ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির জন্য ৩০ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি প্রয়োজন হয়। এই কারণে আমরা যদি প্রতিদিন দুটি করে আমলকি খেতে পারি তবে আমলকির মাধ্যমে আমাদের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারবো।

এছাড়াও আয়ুর্বেদিক উপাদান সম্পন্ন এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, লোহা এবং ভিটামিন বি কমপ্লেক্সের মতো অনেক খনিজ ও অন্যান্য ভিটামিনের উপাদান।

২. ঔষধি গুণ: আমলকির রয়েছে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করার মত সক্ষমতা। তাই আমলকি মানব দেহে বিভিন্ন রোগের ঔষুধেরও কাজ করে থাকে। আমলকির ঔষধি গুনাগুণ গুলো পয়েন্ট আকারে নিচে আপনাদের জন্য তুলে ধরা হয়েছে-

  • শীত কিংবা গরম সব সময়ই আমাদের কমবেশি সবারই জ্বর এবং সর্দি কাশি হয়ে থাকে। আমলকিতে থাকা প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি আপনাকে এ ধরনের অসুখ থেকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
  • আপনার ক্ষুধা মন্দ দূর করতে এবং মুখে খাবারের রুচি বৃদ্ধি করতে আমলকি হতে পারে আপনার জন্য সবচাইতে কার্যকরী সহায়ক।
  • আমলকিতে থাকা ভিটামিন এ আপনার চোখের নানা রকম সমস্যা দূর করার মাধ্যমে আপনার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতেও রাখতে পারে অসাধারণ ভূমিকা।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধকারী আমলকি, ‌ আপনার দাঁতের যত্নেও রাখতে পারে কার্যকরী ভূমিকা। আপনার দাঁতের মাড়ির স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধ করতে পারে আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি।
  • আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। আর এই আঁশ আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যারও করতে পারবে সমাধান।
  • আমলকি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল। আমলকির অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং আপনার ত্বককে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে থাকে।
  • যারা ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন তাদের জন্য আমলকি খুবই উপকারী। কেননা আমলকিতে রয়েছে পলিফেনল যা আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে আপনার ডায়াবেটিসও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
  • উচ্চ কোলেস্টেরলের ফলে আপনার হৃদ রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। আমলকি আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
  • আমলকিতে থাকা সলিউবল ফাইবার আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পাইলসের সমস্যা দূর করতে রয়েছে অসাধারণ সক্ষমতা।
  • এছাড়াও কয়েক রকমের ক্যান্সারের নিরাময়ক হিসেবে আমলকির কার্যকারিতার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।

আমলকির গুনাগুণ ও উপকারিতার কথা লিখে আসলে শেষ করা যাবে না। উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো ছাড়াও আমলকি আরো অনেক রোগের নিরাময়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য ভূমিকা রাখতে পারে।

চুলের জন্য আমলকির তেলের উপকারিতা

চুলের নানা রকমের সমস্যায় ভোগেন না, এমন ব্যক্তি নেই বললেই চলে। আমলকির তৈরি তেল ব্যবহার করে আপনি আপনার চুলের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে পারেন। আমলকির তেল চুলের জন্য কতটা কার্যকরী তা আপনি নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমেই বুঝতে পারবেন। চুলের জন্য আমলকির তেলের উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেয়া যাক।

আরো পড়ুন: সূর্যমুখী বীজ খাওয়ার নিয়ম - ৭ টি টিপস ও ট্রিকস - ১০টি কার্যকরী টিপস ও উপকারিতা

  1. আমলকির তেল মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়া রোধ করে।
  2. স্ক্যাল্পে পুষ্টি জোগায় এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।
  3. নতুন চুল গজাতে আমলকির তৈরি তেল সাহায্য করে।
  4. আমলকি চুলের অকালপক্কতা রোধ করে চুলকে করে ঘন কালো।
  5. চুলের শুষ্কতা এবং রুক্ষভাবে দূর করে চুলকে করে মসৃণ।
  6. আমলকির তেল আপনার মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখে ফলে চুল হয় খুশকি মুক্ত।

চুলের এমন আরো নানা রকম সমস্যা দূর করে আমলকির তেল এবং আপনার চুলকে করবে স্বাস্থ্যজ্জ্বল।

উপসংহার - শেষ কথা

সুন্দর চুলের প্রত্যাশা কে না করে। সবাই চায় চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে। কেননা চুলের প্রতি একটি দুর্বলতার জায়গা আমাদের সবারই থাকে বিশেষ করে মেয়েদের। চুলের অনেক সমস্যার মধ্যে চুল পড়ে যাওয়া অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা।

আর শীতের সময় চুলের সমস্যাগুলো যেন আরো দ্বিগুণ হয়ে যায়। কারণ শীতের সময় চুল রুক্ষ হয়ে যায়, মাথার স্ক্যাল্পে অনেক বেশি ময়লা জমে এবং চুলে খুশকির প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যার ফলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতকালে অনেক বেশি হেয়ার ফল হয়। তবে চুলের সমস্যা যেটাই হোক আর যখনই হোক আমলকির তেল আপনাকে দিবে আপনার চুলের সকল সমস্যার সমাধান।

আমলকির তেল তৈরির নিয়ম ৫টি ঘরোয়া পদ্ধতি এর যেকোনো একটি পদ্ধতি প্রয়োগ করে আজই তৈরি করে ফেলুন আমলকির তেল এবং তা নিয়মিত ব্যবহার করুন। আমার বিশ্বাস আপনি নিরাশ হবেন না বরং মাত্র ২ সপ্তাহ ব্যবহারেই আপনি নিজেই এর ফলাফল কিংবা উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। (1215)

Thanks

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
Comment মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url