অনলাইনে পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার ৮ টি স্টেপ
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার ৮ টি স্টেপ সঠিকভাবে আমরা অনেকেই জানতে চাই। কেননা দেশের বাহিরে যাওয়াসহ বিভিন্ন কাজে পাসপোর্ট খুবই প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। পাসপোর্ট তৈরি করতে যে তথ্যগুলো লাগে তা কোনভাবেই ভুল করা যাবে না।
আজকের আর্টিকেলটি মূলত তাদের জন্যই লেখা যারা অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম সঠিকভাবে পূরণ করা যায় সে সম্পর্কে জানতে চান। এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনারা অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ সহ পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার সকল স্টেপ গুলো ও অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
সূচিপত্র: অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার ৮ টি স্টেপ
- ভূমিকা
- ই পাসপোর্ট করার নিয়ম
- অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ ৮টি স্টেপ
- অনলাইন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে
- অনলাইন পাসপোর্ট ফি জমা দান পদ্ধতি
- বায়োমেট্রিক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দান
- পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পাদন
- MRP কি? MRP থেকে ই পাসপোর্ট কিভাবে করব
- ই পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলো কি কি
- উপসংহার - শেষ কথা
ভূমিকা
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া অনেকে একটি জটিল প্রক্রিয়া বলে মনে করেন। কিন্তু সঠিকভাবে নিয়ম-নীতি মেনে অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করে সহজেই পাসপোর্ট হাতে পাওয়া যায়।
পৃথিবীর অনেক দেশেই ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই পাসপোর্ট চালু রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ ই পাসপোর্ট এর যুগে পদার্পণ করা ১১৯ তম দেশ। সবাই এখন নিজের ঘরেই অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে পারে।
ই পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী
ই পাসপোর্ট করার জন্য কিছু নিয়মাবলী আছে যা পর্যায়ক্রমে অনুসরণ করতে হবে। ই পাসপোর্ট অনলাইন রেজিস্ট্রেশন পোর্টালে প্রথমে নিজ এলাকায় আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কোথায় আছে তা দেখতে হবে। তারপর অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম সকল তথ্যাদি নির্ভুলভাবে প্রদান করে তা পূরণ করতে হবে। পূরণকৃত ফর্ম প্রিন্ট করার পর ব্যাংকে পাসপোর্ট এর জন্য নির্ধারিত ফি প্রদান করে একটা স্লিপ গ্রহণ করতে হবে।
এরপর পাসপোর্ট এর আঞ্চলিক অফিসে যেয়ে পাসপোর্ট তৈরি করার জন্য যেসব কাগজপত্র দরকার সেগুলো সহ বায়োমেট্রিক তথ্য দিতে হবে। প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র ও তথ্য দেয়ার পর অফিস থেকে একটি ডেলিভারি স্লিপ প্রদান করবে। পরবর্তীতে যখন পাসপোর্ট হয়ে যাবে তখন ডেলিভারি স্লিপটি পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিসে প্রদান করে পাসপোর্টটি নিয়ে আসতে হবে।
পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করলে আপনি পাসপোর্টটি কতদিন পর হাতে পাবেন তা নির্ভর করে পাসপোর্ট ডেলিভারির মাধ্যমের উপর। পাসপোর্ট ডেলিভারির মাধ্যম তিনটি যথা:
- রেগুলার
- এক্সপ্রেস
- সুপার এক্সপ্রেস
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার ৮ টি স্টেপ
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম স্মার্ট মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে পূরণ করা যায়। তবে যেহেতু মোবাইলের ইন্টারফেস আকারে ছোট হয় সেহেতু ল্যাপটপ বা কম্পিউটারে পূরণ করলে সেটা তুলনামূলক সহজ হবে ও ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকবে। নিম্নে অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার ৮টি স্টেপ দেয়া হল:
১. স্টেপ, যে কোন ব্রাউজার ওপেন করে সেখানে epassport.gov.bd লিখে সার্চ করলে Bangladesh epassport portal সাইটে প্রবেশ করা যাবে। এখানে প্রথমেই রয়েছে apply online for e-passport/Re-Issue এবং directly to online application. আমাদের (directly to online application) এ ক্লিক করতে হবে।
আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে এপ্লাই করেন তাহলে are you applying form Bangladesh এই অপশনে yes এ ক্লিক করতে হবে। আর যদি বাংলাদেশ থেকে অ্যাপ্লাই না করেন তাহলে নো অপশনটি ক্লিক করে আপনার কান্ট্রি, বাংলাদেশি মিশন এগুলো সিলেক্ট করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে এপ্লাই করলে ইয়েস এ ক্লিক করার পর আপনার প্রেজেন্ট অ্যাড্রেস এর ডিসট্রিক্ট, পুলিশ স্টেশন কোনটা সেটা সিলেক্ট করতে হবে। তাহলে সেখানে শো করবে আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট আঞ্চলিক অফিস কোনটি। সেই অফিসেই আপনার পাসপোর্ট এর সকল কাগজপত্র জমা দিতে হবে, ফিঙ্গার দিতে হবে এবং পাসপোর্ট হয়ে গেলে সেখান থেকে আবার তা ডেলিভারি স্লিপ দেখিয়ে নিয়ে আসতে হবে।
২. স্টেপ, এরপর কন্টিনিউয়ে ক্লিক করলে একটি ইমেইল এড্রেস দিতে হবে যেটি দিয়ে এর আগে কখনো আপনি পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেননি। I am human লেখা বক্স টিতে ও কন্টিনিউতে ক্লিক করতে হবে। তারপর একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড সেট করতে বলবে ৬ ডিজিটের। পাসওয়ার্ডটি এমন হবে যাতে ক্যাপিটাল লেটার, স্মল লেটার, নাম্বার সহ স্পেশাল সাইনও থাকবে। যাতে সহজে কেউ গেস করতে না পারে। পাসওয়ার্ড লেখার পর রিপিট পাসওয়ার্ডের অপশনে আবার সেইম পাসওয়ার্ড দিতে হবে।
এবার পার্সোনাল ইনফরমেশন এ ফুল নামটা ওই ভাবেই থাকবে। তারপর দুইটা অপশন থাকে গিভেন নেম ও সার নেম। পাসপোর্ট এর সকল তথ্য এন আইডি অনুযায়ী দিতে হবে। কারো নামের বেশিরভাগ অংশ দিতে হয় গিভেন নেমে আর সার নেমে ডাকনাম দিতে হয়। যেমন: কারো নাম আয়েশা আক্তার মিম। তাহলে সে গিভেন নেমে আয়েশা আক্তার ও সার নেমে মিম দেবে।
এখানে অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে কারো নাম যদি শুধু একটি শব্দে হয় যেমন: আয়েশা তখন সে কি করবে? এমন হলে শুধু স্যার নেমে আয়েশা লেখতে হবে। আর যদি মোসাম্মৎ আয়েশা হয় তাহলে গিভেন নেমে মোসাম্মৎ আর আয়েশা স্যার নেমে লিখতে হবে।
এরপরে পর্যায়ক্রমে মোবাইল নাম্বার, চেক মার্ক, ক্রিয়েট একাউন্ট এসব অপশন পূরণ ও ক্লিক করলে আপনার ইমেইল আইডিতে একটি ইমেইল আসবে। ইমেইলটি ওপেন করলে সেখানে প্লিজ ক্লিক হিয়ার এ চাপ দিলে অ্যাকাউন্টটি একটিভ হয়ে যাবে। সেখানে সাইন ইন অপশনে ক্লিক করলে পূর্বে যে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দেয়া হয়েছিল সেগুলো আবার দিতে হবে এবং আই এম হিউম্যান এর বক্সে ও সাইন ইন এ ক্লিক করতে হবে।
৩.স্টেপ, এখন আপনি অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অনেকের পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করা যায়। উপরে সাইন ইন এর পর যে পেজটা আসবে সেখানে apply for a new passport এ ক্লিক করে সেখানে যে ইনফরমেশন গুলো চাইলে সবগুলো দিতে হবে।
৪.স্টেপ, পাসপোর্ট টাইপে যারা সরকারি চাকরি করেন তারা অফিসিয়াল পাসপোর্ট আর অন্যরা অর্ডিনারি পাসওয়ার্ড টাইপ সিলেট করবেন। আইডি তথ্যপূরণের সময় ফ্রেসার হয় তাহলে নো অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে আর যদি পূর্বে কোন EPP/MRP থাকে তবে যেটি থাকবে সেখানে ইয়েস বাটনে ক্লিক করতে হবে।
৫. স্টেপ,পার্সোনাল ইনফরমেশন ও এড্রেস সম্পূর্ণ এনআইডি অনুযায়ী দিতে হবে। যদি প্রেজেন্ট ও পার্মানেন্ট অ্যাড্রেস একই হয় তাহলে সেই অপশনে টিক চিহ্ন দিতে হবে। এরপর সেইভ ও কন্টিনিউ দিতে হবে। অন্য দেশের পাসপোর্ট থাকলে তা সিলেক্ট করে এন আই ডি নম্বর দিয়ে সেভ ও কন্টিনিউতে ক্লিক করতে হবে।
৬. স্টেপ, অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ এর ১টি স্টেপ হচ্ছে পিতা মাতা স্পাউস এদের তথ্যপূরণ। এদের সকল তথ্য এন আইডি অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। আর অবিবাহিত হলে সিঙ্গেল অপশন সিলেক্ট করতে হবে। যে পাসপোর্ট করবে তার সাথে যদি জরুরী যোগাযোগের প্রয়োজন হয় তখন মাধ্যম হিসেবে পরিবারের যে কারো তথ্য দেয়া যায়।
৭. স্টেপ, পাসপোর্ট দুই ধরনের হয়ে থাকে ৫ বছরের মেয়াদের ও ১০ বছরের মেয়াদের। আবার পৃষ্ঠার উপর ভিত্তি করেও ২ ধরনের হয়ে থাকে। ৫ অথবা ১০ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্টার পাসপোর্ট এবং ৫ অথবা ১০ বছর মেয়াদের ৬৪ পৃষ্ঠার পাসপোর্ট। পাসপোর্ট ডেলিভারির তিনটি অপশন রয়েছে। যথা: রেগুলার ডেলিভারি, এক্সপ্রেস ডেলিভারি, ও সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি।
পাসপোর্ট এর মেয়াদ, পৃষ্ঠা এবং ডেলিভারির উপর এর আবেদন ফি নির্ভর করে। আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তা সিলেক্ট করবেন। এরপর সেভ এবং কন্টিনিউ বাটনে ক্লিক করে আবেদন সাবমিট করতে হবে। সাবমিটের পর কোন ভুল ধরা পড়লে পাসপোর্ট অফিসে যেয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে নিয়মানুযায়ী ভুল সংশোধন করতে হবে।
আবেদন সাবমিট হয়ে গেলে পাসপোর্ট ফি প্রদানের নিয়ম মেনে ফি প্রদান করতে হবে। পাসপোর্ট ফি প্রদানের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আমরা পরবর্তীতে জানব।
৮. স্টেপ, আবেদন সম্পূর্ণরূপে কমপ্লিট হয়ে গেলে আবেদন কপিটি ডাউনলোড করে প্রিন্টার থাকলে প্রিন্ট আউট করে নিতে হবে অথবা ডাউনলোড করে তা পেইন ড্রাইভ দিয়ে নিয়ে দোকান থেকে প্রিন্ট করে নেয়া যাবে।
মূলত অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার জন্য এ সকল স্টেপ গুলো অনুসরণ করতে হবে।
অনলাইন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে? - অনলাইন পাসপোর্ট ফি কত?
আমরা এতক্ষন অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করা সম্পর্কে জানলাম। এখন জানবো অনলাইন পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে।
আমরা পূর্বে জেনেছি পাসপোর্ট এর মেয়াদ পৃষ্ঠা এবং ডেলিভারি অপশনের উপর এর আবেদন ফি নির্ভর করে। আবেদন ফির সাথে ১৫% ভ্যাট অবশ্যই দিতে হবে। পাঁচ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার রেগুলার ডেলিভারি মানে ২১ দিনের মধ্যে যে পাসপোর্টটি হাতে পাওয়া যাবে তার জন্য ৪০২৫ টাকা ফি দিতে হবে।
একই ক্ষেত্রে এক্সপ্রেস ডেলিভারি (১০ দিনের মধ্যে) হলে ৬৩২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ডেলিভারি (২দিনের মধ্যে) হলে ৮৬২৫ টাকা ফি দিতে হবে। দশ বছরের জন্য ৪৮ পৃষ্ঠার রেগুলার ফি ৫৭৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ফি ৮০৫০ টাকা, এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ১০ হাজার ৩৫০ টাকা। ৫ বছরের জন্য ৬৪ পৃষ্ঠার রেগুলার ফি ৬৩২৫ টাকা এক্সপ্রেস ফি ৮৬২৫ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ১২০৭৫ টাকা।
একই ক্ষেত্রে দশ বছরের জন্য হলে রেগুলার ফি ৮০৫০ টাকা, এক্সপ্রেস ফি ১০৩৫০ টাকা এবং সুপার এক্সপ্রেস ফি ১৩৮০০ টাকা। পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে বয়সের কিছুটা সীমা রয়েছে। যেমন: ১৮ এর কম ও ৬৫+ বয়স হলে তারা দশ বছরের পাসপোর্ট করতে পারবেন না তাদের জন্য ৫ বছরের পাসপোর্ট করতে হবে।
অনলাইন পাসপোর্ট ফি জমা দান পদ্ধতি
অনলাইন পাসপোর্ট ফি জমাদানের ক্ষেত্রে দুটি অপশন থাকে।
- অনলাইন পেমেন্ট
- অফলাইন পেমেন্ট
অফলাইন পেমেন্টে ব্যাংকে এ চালানের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়। অনলাইন পেমেন্টে বিকাশ, নগদ, রকেট, ভিসা কার্ড সহ আরো বেশ কিছু মাধ্যমে ফি জমা দেয়া যাবে। আপনি আপনার পছন্দ মত অপশন সিলেক্ট করে নিচে প্রসিড এ ক্লিক করলে একটা পেমেন্ট গেটওয়ে আসবে। সেখানে Pay with BKash এ ক্লিক করে আপনার বিকাশ নাম্বার দিয়ে কনফার্ম এ ক্লিক করবেন।
আপনার বিকাশ নাম্বার এ একটি ভেরিফিকেশন কোড যাবে যা দিয়ে আবার কনফার্ম এ ক্লিক করতে হবে। এরপর আপনার বিকাশ পিন কোড দিয়ে কনফার্ম এ ক্লিক করলে আপনি সামারি পেইজে প্রবেশ করবেন। সেখানে প্রিন্ট সামারি এবং ডাউনলোড অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম ফর প্রিন্টিং দুইটিই ডাউনলোড করতে হয় এবং প্রিন্ট করে নিতে হবে। এগুলো ছাড়াও পেমেন্ট স্লিপটি ডাউনলোড করতে আবেদন ফরম থেকে online application ID কপি করতে হবে।
উপরে মেইন মেনু বারে পাসপোর্ট ফিস এ গেলে To check and download online এ click hear চাপ দিলে যে পেইজে যাবে সেখান থেকে পাসপোর্ট অ্যাপ্লিকেশন আইডি সিলেক্ট করতে হবে। তারপর কপি করা আইডিটি সেখানে বসিয়ে জমা দিন এ অপশনে ক্লিক করতে হবে। সেখানে পেমেন্টের বিস্তারিত সহ সাকসেস কথাটিও থাকবে। ভিউ অপশনে ক্লিক করে ডাউনলোড ও প্রিন্ট আউট করতে হবে।
বায়োমেট্রিক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমাদান
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার পর অফিস কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হয় এবং বায়োমেট্রিক কাজ করতে হয়। যেসব কাগজপত্র জমা দিতে হয়:
- আবেদন ফর্মের কপি
- সামারি কপি
- পেমেন্ট স্লিপ
- এনআইডি কার্ডের ফটোকপি / জন্ম নিবন্ধন এর ফটোকপি ( এই দুইয়ের মধ্যে যেটি দিয়ে আবেদন করা হবে তা নিতে হবে। ফটোকপি ও মেইন কপি সহ নিতে হবে)
- নাগরিক সনদপত্র
- বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি
- বিবাহিত হলে কাবিননামার ফটোকপি
- যে পেশায় আছে তার প্রমাণ পত্র
- সরকারি চাকরি করলে জিও/এন ও সি এর ফটোকপি
আবেদনের সময় যে ডেট দেওয়া হয়েছিল সেই ডেট অনুযায়ী অফিসে যেয়ে সকল কাগজপত্র জমা দিয়ে ছবি তোলা, হাতের দশ আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আয়রিশ, সিগনেচার ইত্যাদি বায়োমেট্রিক কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। এগুলো সম্পন্ন করার পর অফিস থেকে একটি স্লিপ দিবে এবং এই স্লিপটি যেদিন পাসপোর্ট আনতে যাবেন তখন সেখানে দিয়ে দিতে হবে।
পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পাদন
অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ নিয়ে লেখা আর্টিকেলে এখন আমরা পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে কথা বলব। পাসপোর্ট করতে হলে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন আসবে। সেটি স্থায়ী ও অস্থায়ী দুই ঠিকানাতেই আসতে পারে।
একজন পুলিশ আপনার ঠিকানায় আসবে, এসে আপনার দেয়া তথ্য ঠিক আছে কিনা এবং আপনার কোন মামলা রয়েছে কিনা এগুলো যাচাই করবে, এটিই পুলিশ ভেরিফিকেশন।
সব কাগজপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশন ঠিক থাকলে আপনি কবে পাসপোর্টটি হাতে পাবেন তার একটি এসএমএস আপনার মোবাইলে আসবে এবং সেই ডেট অনুযায়ী অফিস থেকে পূর্বে প্রদত্ত স্লিপটি জমা দিয়ে পাসপোর্টটি নিয়ে আসতে হবে।
MRP কি? MRP থেকে ই পাসপোর্ট কিভাবে করব?
MRP (Machine Readable Passport) হল হাতে লেখা পাসপোর্ট। যখন ই পাসপোর্ট করা যেতনা তখন MRP পাসপোর্ট করা হতো। বর্তমানে সবাই ই পাসপোর্ট করে থাকে। কেননা পূর্বের এনালগ পাসপোর্ট এর তুলনায় এর সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি।
MRP থেকে ই পাসপোর্টে সহজেই কনভার্ট করা যায়। অনলাইনে রি ইসু আবেদন ফরম যেভাবে পূরণ করে সেরকম স্বাভাবিকভাবেই ফ্রম পূরণ করতে হবে। চেঞ্জ হবে শুধু নিন্মুক্ত জায়গা গুলোতে
- ID Documents এ I have a Machine Readable Passport এটি দিতে হবে
- Re-issue reason এ conversion to e-passport দিলেই হবে।
ই পাসপোর্ট এর সুবিধা গুলো কি কি?
ই পাসপোর্ট এর অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে।
- ই পাসপোর্টে একটি চিপ যুক্ত কার্ড ও এন্টেনা থাকে। এই চিপে পাসপোর্ট ধারীর অনেক তথ্য সংরক্ষিত থাকে। ফলে তিনি অন্য কোন দেশে গেলে তার সকল তথ্য সেই দেশ সহজেই যাচাই করে দেখতে পারে।
- এই চিপে পাসপোর্ট ধারীর ছবি, আইরিশ, আঙ্গুলের ছাপ সহ আরো অনেক ইনফরমেশন থাকবে তাহলে অন্য দেশে ই গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় যদি তা মিলে তাহলেই গেটটি ওপেন হবে। আর যদি না মিলে তাহলে ওপেন হবে না।
- ই পাসপোর্ট থাকায় পাসপোর্ট ধারীর যাতায়াত জটিলতা পূর্বের তুলনায় অনেক কমে গিয়েছে।
- এয়ারপোর্টে ভিসা চেকিং এর জন্য তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না।
উপসংহার - শেষ কথা
সুপ্রিয় পাঠক, আশা করি আপনারা অনলাইন পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ সম্পর্কিত এ টু জেড সকল তথ্য এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছেন। যা আপনাদের পাসপোর্ট আবেদন ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে বেশ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং ফরম পূরণে কোন জটিলতা থাকবে না। (1219)
Thanks
আর আইটি ফার্মের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url